চিলি ও পেরুর জন্য আইএমএফের ঋণ অনুমোদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির জন্য হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর আগে অঞ্চলটির আরেক দেশ পেরুর জন্য হাজার ১০০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। মূলত দক্ষিণ আমেরিকা বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। অবস্থায় এখানকার দেশগুলোকে মহামারীর পাশাপাশি অর্থনীতি রক্ষার জন্যও লড়তে হচ্ছে। খবর এএফপি।

পেরু চিলিকে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে আইএমএফের ফ্লেক্সিবল ক্রেডিট লাইনের (এফসিএল) আওতায়। এফসিএলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য ঋণ শুধু সেসব দেশকেই দেয়া হয়, যাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি রয়েছে। সম্প্রতি পেরু চিলির বাইরে ঋণ দেয়া হয়েছে মেক্সিকো কলম্বিয়াকে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক বিবৃতিতে ঋণ দেয়ার বিষয়ে চিলির প্রশংসা করে বলেন, দেশটির খুব শক্তিশালী নীতি রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কৌশলী প্রয়োগেও চিলির রেকর্ড বেশ ভালো। তবে চলমান বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দেশটির উন্মুক্ত অর্থনীতি যথেষ্ট বাহ্যিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে লকডাউনসহ নেয়া বহির্বিশ্বে বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে চিলির রফতানি কার্যক্রম। পাশাপাশি উদীয়মান বাজারগুলোয় মূলধনপ্রবাহও কমে গেছে। সামগ্রিকভাবে কভিড-১৯-এর কারণে বেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির অর্থনীতি।

বর্তমানে মহামারীর কারণে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিই অভাবনীয় মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অবস্থায় যেসব দেশ অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তাদের জন্য ঋণসহায়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থায়নের আরো বেশকিছু নতুন কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে আইএমএফ। ঋণ চিলির মতো দেশের অর্থনৈতিক আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করার পাশাপাশি সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন জর্জিয়েভা।

এদিকে ঋণসহায়তার কার্যক্রমকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই দেখছে পেরু। যখনই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত সংকট শেষ হয়ে যাবে, তখনই দেশটি ঋণ থেকে বের হয়ে যাবে।

আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক্ষেত্রে চিলির মতো পেরুরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, লিমার বেশ শক্তিশালী নীতি প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে দেশটি প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। একই সঙ্গে কমেছে অর্থনৈতিক দুর্বলতা।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস সবার জন্যই সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি হাজির করেছে। পেরুর জন্যও বাস্তবতা অন্যদের থেকে আলাদা নয়। এরই মধ্যে কভিড-১৯-এর প্রভাব দেশটির অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন