কাল থেকে খুলছে রাঙামাটির হোটেল-মোটেল, পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা থাকছেই

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙামাটি

নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রভাবের দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর আগামীকাল রোববার থেকে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে খুলছে আবাসিক হোটেল-মোটেল ও খাবারের হোটেল-রেস্টুরেন্ট। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বলবৎ রয়েছে স্থানীয় পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে। এছাড়া চলাচল শুরু করবে রিকশাবিহীন একমাত্র শহর রাঙামাটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সিএনজিচালিত অটোরিকশাও।

আজ শনিবার বিকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত জানিয়েছেন, খাবারের হোটেল ও আবাসিক হোটেল খুলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খুলতে হবে। এছাড়া পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞা আরোপ রয়েছে। তবে জেলা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিন্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ রাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তার পরদিন থেকেই রাঙামাটির সকল আবাসিক হোটেল-মোটেল ও বন্ধ করে দেয়া হয়। রাঙামাটিতে অবস্থান করা পর্যটকরাও রাঙামাটি ছাড়েন। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বন্ধ হয়ে যায় জেলার দোকানপাট-খাবারের রেস্টুরেন্টসহ স্থানীয় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম অটোরিকশা।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঈনুদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় থাকা ৫১টি আবাসিক হোটেল রোববার সকাল থেকে খোলা হবে। তবে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে খোলা হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা হবে। স্বাভাবিকের মত হোটেল কর্মচারীদেরও কাজে নিয়োগ দেয়া হবে না। প্রাথমিক অবস্থায় স্বল্পসংখ্যক কর্মচারী কাজে যোগদান করবে। আমরা সিঙ্গেল রুমে একজনের বেশি রাখব না। বিশেষ করে প্রাধান্য দেয়া হবে ডাবল রুমগুলোকে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, আমাদের এখন কোনো বুকিং নেই। আর গণপরিবহন চালু হলে আমাদের কাছে বুকিং আসলে সেটা জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তারপরও সব স্টার্ফদের কর্মস্থলে এনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে সব ইউনিট চালু করতে আরও দুই একদিন সময় প্রয়োজন।



রাঙামাটি রেস্তেরাঁ মালিক সামিতির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না জানান, বিকেল চারটা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করা কঠিন হবে। কাল আমরা বসবো এবং ডিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করবো। ভোর হতে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার রাখার বিষয়ে উনার সহযোগিতা চাইবো। না হয় খোলা না খোলা একই কথা হবে।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, এখনো জারি রয়েছে পর্যটন স্পটের ওপর নিষেধাজ্ঞা। কোনো পর্যটন স্পট খোলা হবে না। তবে হোটেল খোলা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। যে টেবিলে চারজন বসতে পারে সেখানে দুজনের বেশি লোক বসানো যাবে না। অবশ্যই বিকেল ৪টার মধ্যে হোটেল বন্ধ করতে হবে। যারা খাবার পরিবেশন করবেন তাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন