করোনা চিকিৎসায় খুলনায় প্লাজমা থেরাপি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি খুলনা

খুলনায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি (রক্তরস প্রয়োগ) শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রথম করোনা রোগীকে থেরাপি দেয়া হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনার করোনা হাসপাতালে ২৪ মে ভর্তি হওয়া রূপসা উপজেলার এক যুবককে প্রথম প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর প্লাজমা থেরাপির ফলাফল বোঝা যাবে। তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার জন্য ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মঞ্জুরুলের রক্ত নেয়া হয়েছে, যিনি সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।

জানা গেছে, ডা. মঞ্জুরুল গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসেন। খুমেকের ইথিক্যাল কমিটির অনুমোদন নিয়ে বৃহস্পতিবার ডা. মঞ্জুরুলের প্লাজমা ওই রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। কাজে সহায়তা করেন খুমেকের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল আহাদ, পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকেন্দার উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এসএম তুষার আলম, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ডা. অনল রায়, ডা. ফিরোজ, ডা. অনিক দেউরি ডা. সাইফ মানসুর।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খুমেকের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে একটি সেল সেপারেটর মেশিন রয়েছে, যেখানে রক্তের বিভিন্ন উপাদান আলাদা করা সম্ভব। যদিও প্লাজমা থেরাপি দেয়ার জন্য ব্যবহূত এফেরেসিস মেশিন খুলনায় নেই। সেল সেপারেটর মেশিনের মাধ্যমে রক্ত থেকে অন্য অংশ বাদ দিয়ে শুধু প্লাজমা সংগ্রহ করে তা দিয়ে একটি প্লাজমা ব্যাংক করার চেষ্টা চলছে।

ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, প্লাজমা প্রয়োগে অ্যান্টিবডি রোগীর দেহে গেলে ভাইরাসটি অনেকাংশেই নিষ্ক্রিয় হবে এবং রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। এজন্য কমপক্ষে ১৪ দিন আগে সুস্থ হয়েছেন এমন রোগীর কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। এটি প্রয়োগে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে রক্তের গ্রুপ মিল থাকতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন