সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরো দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার খাস কাউলিয়া ও কাঁঠালবাড়ী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মোট ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
সিরাজগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহীনুর কবির জানান, সকালে খাস কাউলিয়া ও কাঁঠালবাড়ী এলাকায় নদীতে দুটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত তিনদিনে মোট ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক নারীসহ চারজন।
প্রসঙ্গত, ২৬ মে দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। আর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় ১০ জনের। প্রবল স্রোতে নিখোঁজ ব্যক্তি ও ডুবে যাওয়া নৌকা দূরে ভেসে গেছে ধারণা করে ২৭ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। তার পর থেকে গত দুদিনে নদীতে ভেসে ওঠার পর এ পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত নৌযাত্রীরা জানান, আরোহীদের বেশির ভাগই শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী। তারা সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধান কাটার জন্য যাচ্ছিলেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় নৌকাটি ডুবে যায়।
