রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ভৌত সুরক্ষায় ব্যয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থায় (পিপিএস) ব্যয় হবে হাজার ৪০০ কোটি টাকা। রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি এলরন সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করবে। -সংক্রান্ত একটি চুক্তি শুক্রবার স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাশিয়ার কোম্পানিটির সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাবনার রূপপুর প্রকল্পের পারমাণবিক নিরাপত্তা ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সেলের (এনএসপিসি) মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তি সই হয়। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে পিপিএস নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, এনএসপিসির প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতার শহীদ, রাশিয়ার রোসাটমের মহাপরিচালক কনস্টানটিন দেনিসভ, এলরনের মহাপরিচালক অ্যান্দ্রে মুরাভিয়েভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালের নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিএস নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

দেশের সব থেকে বড় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর ৯০ শতাংশ অর্থ রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। ভিভিইআর প্রযুক্তির হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিটে মোট হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পিপিএস প্রকল্পটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ বাহ্যিক হুমকি মোকাবেলা করবে। নিরাপদ সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকার সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়া দুই দেশের সরকারের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কোম্পানি এলরন নিরাপত্তা প্রকল্প নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে।

বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) চুক্তি অনুসারে রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে ২০১৭ সালের এপ্রিল। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, রাশিয়া ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এখন ভারত রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ, পরিচালনা, লোকবল প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন