নৌপথে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৪ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা মেনে নৌপথে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। গতকাল এসব নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নৌপথে যাত্রী পরিবহন স্টেশনে জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, নিরাপত্তা এবং জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে, সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কভিড-১৯-এর প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং মাস্ক, গ্লাভস জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের যথাসময়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। স্টেশনে আসা এবং বের হওয়া যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য ফেরি টার্মিনালে তাপমাত্রা নির্ধারক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। যথাযথ শর্তাবলি মেনে ফেরি টার্মিনালে একটি জরুরি এলাকা থাকতে হবে, যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭. সে. বা ৯৯ ফা.-এর ওপর থাকবে, তাদের এই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। বায়ু নির্গমন পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নৌ-চলাচলের সময় সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল করতে দিতে হবে, যথাযথ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচলের জন্য কেবিনের জানালা খুলে দিতে হবে। ফেরি টার্মিনালগুলোয় জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে। ফেরি টার্মিনাল নৌযানগুলোকে তাদের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, আবর্জনা যথাসময়ে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিষ্কার করতে হবে।

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি নৌযানে হাতে ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে, যথাযথ স্থানে একটি জরুরি এলাকা স্থাপন করতে হবে, যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গগুলো যেমন জ্বর কাশি আছে, এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখা যাবে।

যথাযথ শর্তসাপেক্ষে নৌযানের অভ্যন্তরীণ তথ্যকেন্দ্র বা সেবাকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে, সেবা প্রক্রিয়া নিখুঁত থাকতে হবে। প্রতিবার নৌযান ছেড়ে যাওয়ার আগে কেবিন ব্রিজের পৃষ্ঠতল পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত করতে হবে, সিট কভারগুলো প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন