দেশে কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় নিজেদের ভূমিকার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাচিত ১২টি হাসপাতালে ৫০ হাজার মেডিকেল গ্রেড ফুল সেট পিপিই বিতরণ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দুই মাসের অধিক সময় ধরে দেশে কভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সম্মুখযোদ্ধাদের নিরাপত্তার জন্য গ্রামীণফোন পিপিই বিতরণ করেছে।
গ্রামীণফোনের বিবৃতিতে বলা হয়, পিপিইর প্রতি সেটে রয়েছে সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, কেএন ৯৫ মাস্ক, ল্যাটেক্স গ্লাভস ও গগলস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাচিত যে ১২টি হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে সেগুলো হলো কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, এ সংকটকালে দেশের কল্যাণে সামনে থেকে যারা করোনা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন গ্রামীণফোন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এটা কোনো সহজ কাজ নয় এবং আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সঙ্গে এ মহৎ কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস, সম্মিলিতভাবে সব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। এ উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি উৎসাহ, সদিচ্ছা ও সাহস দিয়ে যারা আমাদের পাশে থেকেছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ রকম একটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি গ্রামীণফোনের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ চলমান বৈশ্বিক মহামারীর সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিঃসন্দেহে গ্রামীণফোনের জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগ। আমি আশা করি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ রকম উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
কভিড-১৯ মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে করোনা আক্রান্তদের সেবাদানে নিয়োজিত ডিজিএইচএস সার্টিফায়েড ২৫ হাজার চিকিৎসককে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মাত্র ১ টাকা টোকেন মূল্যের বিনিময়ে প্রতি মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেটের সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জরুরি সহায়তায় তহবিল গঠনে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ডাকছে আমার দেশ’
উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন এরই মধ্যে এক লাখ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে এবং ব্যক্তিপর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্যদেরও এ উদ্যোগে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
