লকডাউনে শিশুদের জন্য নতুন বই নিয়ে হাজির হলেন হ্যারি পটারের স্রষ্টা জে কে রাউলিং। দি ইকাবোগ নামে বইটি অনলাইনে ফ্রি পড়া যাবে। রাউলিং জানিয়েছেন, বইটি তিনি ১০ বছর আগে লিখেছিলেন, কিন্তু পাণ্ডলিপিটা আর বই আকারে প্রকাশ করেননি। তার কথায় এ সময়ে এসে তিনি বইটি প্রকাশ করছেন শুধু শিশুদের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে, কারণ তিনি মনে করেন এ লকডাউন শিশুদের জন্য খুব কঠিন সময় নিয়ে এসেছে।
দি ইকাবোগ বইটি লেখা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দি ইকাবোগের ধারণাটা আমার মাথায় এসেছিল অনেক বছর আগে। যখন বইটি লিখেছিলাম, তখন প্রতি রাতে আমার দুই শিশু সন্তানকে এক এক অধ্যায় পড়ে শোনাতাম।’ দি ইকাবোগের অধ্যায়গুলো প্রকাশিত হচ্ছে দি ইকাবোগ ডটকম নামের ওয়েবসাইটে। প্রথম পাঁচটি অধ্যায় এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বাকিগুলোও প্রকাশিত হতে থাকবে। যে অধ্যায়গুলো প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর শিরোনাম-কিং ফ্রেড দ্য ফিয়ারলেস, দি ইকাবোগ, ডেথ অব আ সিমস্ট্রেস, দ্য কোয়ায়েট হাউজ ও ডেইজি ডোভটেইল।
জে কে রাউলিং দি ইকাবোগ সম্পর্কে বলেছেন, ‘সত্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে এ কাহিনী। কোনো নির্দিষ্ট সময় এখানে ধরা হয়নি। বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ছাপ এখানে নেই। বরং যেকোনো সময়ে, যেকোনো প্রেক্ষাপটে এ গল্প পড়ে আনন্দ পেতে পারেন সবাই, বিশেষত শিশুরা।’
সম্প্রতি বইটি অনলাইন প্রকাশের অনুষ্ঠানে এ গল্প তৈরির নেপথ্যে কাহিনীও বলেছেন রাউলিং। তার কথায়, সাত থেকে নয় বছরের শিশুরা চাইলে সবাইকে পড়েও শোনাতে পারে দি ইকাবোগ। দি ইকাবোগ বই আকারে প্রকাশিত হবে নভেম্বরে।
হ্যারি পটার সিরিজের শেষ বইটি লেখার পর ছোটদের কাহিনী রচনা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত লেখিকা। মাঝে তিনি একটু বড়দের জন্য গল্প লিখছিলেন। রবার্ট গ্যালব্রেথ ছদ্মনাম নিয়ে লিখে ফেলেছিলেন ‘দ্য ক্যাজুয়াল ভ্যাকেন্সি’,
‘দ্য কুক্কুস কলিং’। রাউলিং জানিয়েছেন, দি ইকাবোগের রয়্যালিটি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তিনি মহামারী মোকাবেলায় দান করবেন।
সূত্র: পিংকভিলা