বেড়েই চলেছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন রেকর্ড গড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৯ জন। এখন পর্যন্ত একদিনে শনাক্তের এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে কভিড-১৯ পরিস্থিতির এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ভাইরাস ঠেকাতে দুই মাসের সাধারণ ছুটি যখন শেষ হওয়ার তোড়জোড় চলছে, তখন শনাক্তের মোট সংখ্যা ৪০ হাজারের ঘরে পৌঁছাল।
গতকালের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের ৯ হাজার ৩১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন পরীক্ষা করা হয়েছিল ৮ হাজার ১৫টি। গতকালের পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ২ হাজার ২৯টিতে পাওয়া গেছে করোনার উপস্থিতি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭১টি। দেশে এখন ৪৯টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ৫৫৯-এ। গতকাল যারা মারা গেছেন তাদের ১১ জন পুরুষ, চারজন নারী। সাতজন ঢাকা বিভাগের, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন। এলাকাভিত্তিক ধরলে ঢাকা মহানগরে ছয়জন, নারায়ণগঞ্জে একজন, চট্টগ্রাম শহরে দুজন, জেলায় আরো দুজন, কক্সবাজারের দুজন ও কুমিল্লার দুজন রয়েছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে দুজন ত্রিশোর্ধ্ব, পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, পাঁচজন ষাটোর্ধ্ব, দুজন সত্তরোর্ধ্ব এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের রয়েছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫০০ জন। এ নিয়ে সর্বমোট ৮ হাজার ৪২৫ জন সুস্থ হলেন।
চীনের উহানে গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার উত্পত্তি হলেও বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুও ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর ২৬ মার্চ থেকেই করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। আসছে ৩০ মে থেকে এই ছুটি আর থাকছে না। করোনা ঠেকানোর সাধারণ ছুটি এমন সময়ে শেষ হতে যাচ্ছে, যখন বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান দিন দিন বেড়েই চলেছে।
