দেশে কভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীর নমুনা পরীক্ষার ব্যাপ্তি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ল্যাব সুবিধার সীমাবদ্ধতার কারণে শুরুতে অল্প কিছু সন্দেহভাজনের নমুনা নেয়া হলেও এখন প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার ব্যাপ্তি বাড়ার পাশাপাশি অনেক বেড়ে গেছে করোনা পজিটিভ শনাক্তের হারও।
প্রথমদিকে নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্তের হার ছিল ৫ থেকে ৭ শতাংশ। বর্তমানে এ হার ২০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ নমুনা দেয়া প্রতি পাঁচজনের একজন এখন কভিড-১৯ আক্রান্ত।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া প্রতিদিনকার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৬ এপ্রিল দেশে মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০। ওইদিনের ব্রিফিংয়ে ১৪টি পিসিআর ল্যাবে ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৩৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসেবে নমুনা প্রদানকারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায় গত ১২ এপ্রিল। সেদিন ১৭টি পিসিআর ল্যাবে ১ হাজার ৩৪০ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষায় ১৩৯ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এরপর ১৪ এপ্রিল ১৭টি ল্যাবে ১ হাজার ৯০৫ জনের পরীক্ষায় ২০৯ জন পজিটিভ হওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আক্রান্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ১৬ এপ্রিল। ওইদিন ১৭টি ল্যাবে ২ হাজার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়। আক্রান্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মোট নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৩ এপ্রিল। সেদিনের ব্রিফিংয়ে ১৯টি ল্যাবে ৩ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অর্থাৎ আক্রান্তের হার ছিল ১২ দশমিক ১২ শতাংশ।
সর্বশেষ গতকাল ৪৯টি পিসিআর ল্যাবে ৯ হাজার ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৯ জন নতুন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। পজিটিভ পাওয়ার হার ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এদিকে আইইডিসিআরের গত সাতদিনের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ক্রমাগতই বেড়ে চলছে। ২২ মে ১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, ২৩ মে ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২৪ মে ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ, ২৫ মে ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৬ মে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ২৭ মে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ ও সর্বশেষ গতকাল সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে।