মহামারীর সিনেমা: দ্য নেভিগেটর

রহস্যময় এক যাত্রা

ফিচার ডেস্ক

চতুর্দশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড। ছোট্ট এক গ্রামে হঠাৎ করে খবর আসে যে ভয়াবহ এক প্লেগ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা সবাই আশঙ্কা করছে যে এটি তাদের গ্রামেও শিগগিরই ছড়িয়ে পড়বে। ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য গ্রিফিন নামে এক ছেলের ওপর নির্ভর করে গ্রামবাসী। কারণ গ্রিফিনের অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে। সে এমন অনেক দৃশ্য দেখতে পায় যায়, যা আর কোনো মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তাই প্লেগ থেকে বাঁচতে পথ দেখাতে গ্রামবাসী গ্রিফিনকে পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করে।

এমনি এক মহামারীর কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে দ্য নেভিগেটর: মেডিয়েভাল ওডিসি সিনেমাটি। পুরো ইংল্যান্ডজুড়ে ব্ল্যাক ডেথখ্যাত প্লেগ ছড়িয়ে পড়ায় কামব্রিয়ান পাহাড়ের সংলগ্ন গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পরে। তখন গ্রিফিন নামে এক ছেলে তার দ্বিতীয় দৃষ্টি দিয়ে এই মহামারী থামানোর উপায় দেখতে পায়। সে গ্রামবাসীকে বলে আগামী পূর্ণিমা আসার আগে সবচেয়ে বড় চার্চে একটি পবিত্র ক্রুস স্থাপন করতে পারলে মহামারী থেকে বাঁচা যাবে।


কনোর নামক এক দুঃসাহসী ব্যক্তি এবং একদল গ্রামবাসী গ্রিফিনের কথা মতো নিকটবর্তী একটি গুহাতে প্রবেশ করে। সবচেয়ে বড় চার্চে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা মাটি খুড়ে একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ শুরু করে। হঠাৎ করে তারা একটি সিঁড়ি পায়, যা দিয়ে উপরে উঠে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করে।

সিনেমাটি শুরু থেকে সাদাকালো থাকলেও নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে রঙিন হয়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন প্রযুক্তি দেখে গ্রামবাসীরা অবাক হয়ে যায়। তারা মনে করে শহরটি কোনো মহান আধ্যাত্মিক জায়গা। কিন্তু গ্রিফিন একটি অশুভ শক্তির আঁচ পায়, যা তাদের স্বস্তিতে থাকতে দেয় না।

প্রায় তিন দশক পরও সিনেমাটি এখনো পুরনো হয়নি। এটি এখনো দর্শকদের রোমাঞ্চিত করে।

অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত দ্য নেভিগেটর: মেডিয়েভাল ওডিসি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ভিনসেন্ট ওয়ার্ড পরিচালিত সিনেমাটি অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম ইনস্টিটিউট পুরস্কার এবং ইউরোপীয় ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ কয়েকটি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার জিতেছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন ব্রুস লিয়ন, ক্রিস হেউড, হামিশ ম্যাকফার্লেন প্রমুখ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন