বহুমুখী লড়াইয়ে মুখোমুখি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। দুই দেশের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব মতবিরোধ বর্তমান ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বেইজিং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে বহুমুখী প্রত্যক্ষ লড়াই শুরু হয়েছে, তা এর আগে আর কখনই দেখা যায়নি। খবর এএফপি।

প্রথমত বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের প্রতি তথ্য গোপন অস্বচ্ছতার অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র এখন কার্যত বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তবে চীন বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। একই সঙ্গে ধরনের অভিযোগ আরেকটি বিশ্বকে আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করে চীন।

এদিকে বহু আগে থেকেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন ট্রাম্প। তার মতে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে চীন অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি চীনের প্রতি মেধা-সম্পত্তি চুরি বন্ধ না করারও অভিযোগ আনেন। অবস্থায় ২০১৮ সালের প্রথমদিকে তিনি চীনের সঙ্গে কার্যত বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশই পরস্পরের পণ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ করে। এরপর গত জানুয়ারিতে প্রথম ধাপের চুক্তি সম্পন্ন হলেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে এখনো বহু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

একইভাবে জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা সরকারের আচরণ নিয়ে সমালোচনা করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমসহ অন্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। যেখানে এসব মানুষকে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। তবে বেইজিং বলছে, এসব আটক কেন্দ্রে মূলত কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। একই সঙ্গে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তারা সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে না পড়ে।

এদিকে তাইওয়ান নিয়েও মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে চীন যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে তাইওয়ান চীনেরই অংশ। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। কিন্তু তাইওয়ানের প্রধান মিত্র অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। আর বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীন বরাবরই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এমনকি পুনরায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সাই ইং-ওয়েনকে গত সপ্তাহে পম্পেও অভিনন্দন জানালে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বেইজিং। একইভাবে চীন যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণ চীন সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন