ভারতে কি লকডাউন আরো বাড়বে?

বণিক বার্তা অনলাইন

পহেলা জুন থেকে চতুর্থ দফায় বর্ধিত লকডাউনের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে এরপর কী হবে তা নির্ধারণ করতে ৬০ দিনের লকডাউনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে ভারত সরকার।

তবে এরই মধ্যে ভারতে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। দৈনিক গড়ে ৬ হাজারের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যুহারও শতাধিক থাকছে। এ পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নেয়া সঠিক হবে কিনা তা নিয়ে ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুর দিকে কিছু এলাকায় লকডাউন শিথিল করে দুই সপ্তাহ বর্ধিত করার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের দিকেও অনেকে আঙ্গুল তুলছেন।

এ কারণে সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, যেভাবে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে, তাতে একেবারে লকডাউন তুলে নেয়ার পক্ষপাতী নন শীর্ষ কর্তারা। চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ দিনে, অর্থা‌ৎ আগামী রোববার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি নিয়ে কোনো ঘোষণা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এদিকে দশটি রাজ্য উদ্বেগে রেখেছে কেন্দ্রকে। মোট সংক্রমণের প্রায় ৯০ শতাংশই মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই রাজ্যগুলোতে। রাজ্যগুলোর বড় শহর, যেমন মুম্বাই, পুনে, হায়দরাবাদ, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ে সংক্রমণ বেশি। গোটা রাজ্যের ৭০-৮০ শতাংশ সংক্রমণই হচ্ছে বড় শহরে।

ফলে ১ ‍জুন থেকে লকডাউন উঠলেও বড় শহরগুলোতে কঠোর নজরদারি থাকবে বলে ধারণা করা যায়। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতা ধর্মীয় খুলে দেয়ার দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ আরো এক মাস বন্ধ রাখা উচিত। শপিং মল, সিনেমা হল, হোটেল-রেস্তোরাঁ আরো কিছু দিন বন্ধ রাখার পক্ষেই কর্মকর্তারা। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারগুলোর হাতেই ছেড়ে দেয়া হতে পারে। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরবর্তীতে খুললে প্রথমে উপরের শ্রেণী, পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার কথা ভাবছে সরকার। যদিও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ও চীন আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে শুরু করেছে। 

সূত্র: এনডিটিভি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন