দিনাজপুরে ‘স্পিরিট পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের বিরামপুরে স্পিরিট পান করে আব্দুল আলিম নামের আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ জনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল আলিম মারা যান। তিনি বিরামপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। 

এর আগে গতকাল বুধবার ভোরে মাহমুদপুরে স্পিরিট পানে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীসহ আট জনের মৃত্যু হয়। 

মৃতরা হলেন- বিরামপুর পৌর শহরের হঠাৎ পাড়া মহল্লার শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা, শান্তিনগর মহল্লার মো. আনোর ছেলে আব্দুল মতিন, মাহমুদপুর মহল্লার আব্দুল খালেকের দুই ছেলে আব্দুল আলিম এবং মো. শাহিন,  মো. তোজাম শাহর ছেলে  আজিজুল ইসলাম, সুলতানের ছেলে  মহসীন আলী, আজিজার রহমানের ছেলে সোহেল রানা, আফিল উদ্দিনের ছেলে মো. মনো মিয়া এবং ইসলামপাড়া মহল্লার তাপস রায়ের ছেলে অমৃত। 

স্থানীয়রা জানান, বিরামপুর উপজেলার মাহমুদপুরে গভীর রাত পর্যন্ত মদের আসর বসিয়েছিলেন তারা। সেখানেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এক জনের মৃত্যু হয়। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্য হয়। রংপুরে নিয়ে যাওয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়। 

এদিকে পৌর শহরের হঠাৎপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে স্পিরিট পান করে অসুস্থ হয়ে বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা। বুধবার রাতে সোহেল রানা ও মনো নামের আরো দুজনের মৃত্যু হয়। 

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান এখন পর্যন্ত  ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বুধবার থেকে আজ ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ এবং রংপুর মেডিকেল কলেজে তাদের মৃত্যু হয়।  

অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। বিরামপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গুরুতর অবস্থায় আরো ১৫ জন চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি। 

বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিথুন সরকার গুরুতর চিকিৎসাধীনদের বরাত দিয়ে জানান, যারা মারা গেছেন তারা তারা বর্তমানের গ্রেফতার আব্দুল মান্নানের হোমিও দোকান ছাড়াও বিভিন্ন অবৈধ হোমিও দোকান থেকে রেক্টিফায়েড স্পিরিট কিনেছিলেন। এরপর কয়েকটি গ্রুপ মিলে একসঙ্গে টাইগার নামের কোমল পানিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন