ঢাকায় করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি মহাখালীতে

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) মূল ভরকেন্দ্র ঢাকা। মোট আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি ঢাকার বাসিন্দা। ঢাকার মধ্যে করোনা সংক্রমণ আবার সবচেয়ে বেশি মহাখালীতে। অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩৭।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) ২৫ মে পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরে সবমিলে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫ জন। আরো ৬১৭ জন রোগী আছে ঢাকার বাকিসব উপজেলায়।

ঢাকায় করোনা সংক্রমণ আলোচনায় আসে উত্তর টোলারবাগে পর পর দুদিন দুটি মৃত্যুর ঘটনায়। ২১ ও ২২ মার্চ করোনাভাইরাসে দুজনের মৃত্যু হলে এলাকাটি লকডাউন করে দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে তা ছড়িয়েছে পুরো ঢাকায়। আইইডিসিআর গত ২৫ মে পর্যন্ত ঢাকার কোন এলাকায় কতজন করোনা রোগী আছে, তার একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ঢাকা মহানগরের অন্তত ২০৬টি এলাকায় করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৩৭ জন রোগী আছে মহাখালীতে। যাত্রাবাড়িতে রোগী আছে ৩০ জন। কাকরাইলে রোগীর সংখ্যা ২৯৮। একইভাবে মুগদায় ২৯৫, মোহাম্মপুরে ২৮০, রাজারবাগে ২১৩, উত্তরায় ২১১, মিরপুরে, ২০৭, মগবাজারে ১৯৭, তেজগাঁওয়ে ১৭৭, লালবাগে ১৬২, খিলগাঁওয়ে ১৫০, ধানমন্ডিতে ১৪৯, বাবুবাজারে ১৪৩, মালিবাগে ১৩১, বাড্ডায় ১২৭ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে।

ঢাকার করোনা সংক্রমিত এলাকার তালিকায় পুরান ঢাকার মতো যেমন ঘিঞ্জি এলাকা রয়েছে, তেমনি রয়েছে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকায়। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, উত্তরার মতো আবাসিক এলাকায় যেমন সংক্রমণের হার বেশি, তেমনি সংক্রমণের হার বেশি মহাখালী, কাকরাইলের মতো বাণিজ্যিক এলাকাতে। তেজগাঁওয়ের শিল্প এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারের কাঁচা বাজার সংক্রমণে কোথাও বাদ রাখেনি করোনাভাইরাস।

জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ।  জেলাটিতে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৭। একইভাবে মুন্সীগঞ্জে ৬০১, গাজীপুরে ৫৯১, কুমিল্লায় ৫৬৭, কক্সবাজারে ৪১০ ময়মনসিংহে ৩৯৯, রংপুরে ৩৮০, নোয়াখালীতে ৩৭৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে মেহেরপুরে। জেলাটিতে২৫ মে পর্যন্ত করোনা রোগী ছিল ১২ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন