সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ৭% সংকুচিত হতে পারে

বণিক বার্তা অনলাইন

নভেল করোনাভাইরসের সংক্রমণ প্রেক্ষাপটে চলতি বছর সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক সংকোচন হতে পারে ৭ শতাংশ। এমন হলে তা হবে স্বাধীনতার পর নগর-রাষ্ট্রটির অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বাজে সংকোচন। মঙ্গলবার ২৩ হাজার ২০ কোটি ডলারের নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ উন্মোচনের সময় এ তথ্য জানিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।

নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ উন্মোচনকালে সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হেং সুই কিট বলেন, মহামারীর কারণে সিঙ্গাপুর অভাবনীয় সংকটের মধ্যে পড়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক সংকোচন হয়েছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ফলে মার্চে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২০ সালে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির সংকোচন হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। কিন্তু বহির্বিশ্বে চাহিদার ব্যাপক পতনের কারণে ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে ৭ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূলত অভ্যন্তরীণ লকডাউন আংশিকভাবে কার্যকর থাকায় এবং বহির্বিশ্বে চাহিদার পতনের কারণেই অর্থনীতির সংকোচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীনের মতো প্রধান বাজারে লকডাউন ও বাধ্যবাধকতার কারণে স্থবির হয়ে আছে রফতানি কার্যক্রম। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন স্থগিত থাকায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন খাত। সব মিলিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি অভূতপূর্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতার পর চলতি বছর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকোচনের সম্মুখীন হতে পারে নগর-রাষ্ট্রটি।

এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে সিঙ্গাপুরের অধিকাংশ ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, মানুষজনকে দেয়া হয়েছে ঘরে অবস্থানের নির্দেশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জুনের প্রথম দিকে কিছু নিয়ম শিথিল করা হতে পারে। তবে বহু বাধ্যবাধকতা আগের মতোই বহাল থাকবে। এ পরিস্থিতিতে কর্মীদের চাকরির সুরক্ষায় কোম্পানিগুলোকে সহায়তার জন্যই মূলত নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সরকার ভাইরাসের আঘাত থেকে অর্থনীতি রক্ষায় সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে জিডিপির ২০ শতাংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন