তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল

খাবারের মান নিয়ে ‘প্রশ্ন তোলায়’ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ চারজন লাঞ্ছিত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

খাবারের মান নিয়ে ‘প্রশ্ন তোলায়’ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চারজন খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে হাসপাতালের কুক শফিকুল ইসলাম রোগীদের জন্য খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক ট্রেডার্সের নিয়োজিত লোকের কাছ থেকে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মানসম্মত খাবার বুঝে নিতে গেলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঠিকাদারের লোক গোলাম মোস্তফা ও বাহাদুর আলী রান্না ঘরে থাকা খড়ি দিয়ে কুক শফিকুলকে মারধর করেন। এ সময় হাসপাতালে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলাপনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রথমে হাসপাতালের কুককে মারধর করে ঠিকাদারের লোকজন। এ সময় আমি গিয়ে মারধরের প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেও মারধর করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,  এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক ট্রেডাসের মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে শহরের বাহিরে অবস্থান করেছি। শুনেছি খাবার সরবরাহ করা নিয়ে আমার লোকজনে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমি এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এদিকে ঘটানার পরপরই সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ও সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম হাসপাতাল পরিদর্শন করে এক জরুরি বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এরকম ঘটনা অবশ্যই কাম্য নয়। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন