বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রবেশমুখে স্থাপন হচ্ছে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৩টি স্বাস্থ্য বিধি পরিপালনের নির্দেশনা রয়েছে। যা অনুসরণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বিধি পরিপালনের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে ৩নং ভবনে এন্ট্রিপয়েন্টগুলোতে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।   

গতকাল রোববার (২৪ মে) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব এবং ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও অধিনস্থ দফতর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ১৩টি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা পালন নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত নির্দেশনা অনুযায়ী ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে’ মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৩ নং ভবনের পোস্ট অফিস, পিএসিসি এবং উত্তরপূর্ব কোণের এন্ট্রি পয়েন্টে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থবিধিতে নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আছে, অফিস চালু করার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ বা আঙিনা বা রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।

অফিস পরিবহনসমূহ অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সকলকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক) ব্যবহার করতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অফিসসমূহে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। 

কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিম এর মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন