কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত ৭৭ কারখানার ১৭০ শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৬ এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে সচল হয়ে ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত সচল হয়েছে প্রায় ৪ হাজার শিল্প কারখানা। এ সময়ের মধ্যে ধীর গতিতে বাড়ছে শ্রমঘন শিল্প খাতে কভিড আক্রান্ত কর্মীর সংখ্যা। 

গত ৮ মার্চ কভিড- ১৯ আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। এরপর দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও খুলনার শিল্প এলাকার কারখানাগুলোতে কভিড- ১৯ আক্রান্ত কর্মী শনাক্ত হননি।  তবে গত ২৩ মের সর্বশেষ তথ্যমতে, এখানেও একটি কারখানার এক শ্রমিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে এরই মধ্যে ২৩ মে পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এই শ্রমিকরা সব খাত মিলিয়ে মোট ৭৭টি কারখানার সঙ্গে যুক্ত। যার ৫৯টিই শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য পোশাক কারখানা।  

শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ এই ছয় শিল্প এলাকায় গত ২৩ মে খোলা ছিল ৪ হাজার ১৭৭টি কারখানা। এলাকাগুলোতে সব খাত মিলিয়ে মোট কারখানা আছে ৭ হাজার ৬০২টি। 

ছয় শিল্প এলাকায় পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য কারখানা আছে ১ হাজার ৮৮২টি। যার ৪৫টিতে কভিড আক্রান্ত শনাক্ত শ্রমিক ১০২ জন। আরেক সংগঠন বিকেএমইএ সদস্য কারখানা আছে মোট ১ হাজার ১০১টি। যার ১৪টিতে আক্রান্ত শনাক্ত শ্রমিক ৪০ জন। পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের সংগঠন বিটিএমএ সদস্য মোট ৩৮৯ কারখানার মধ্যে একটি কারখানায় ২ জন শ্রমিক কভিড আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। 

রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতাভুক্ত ছয় শিল্প এলাকায় মোট ৩৬৪ কারখানার মধ্যে ১০টিতে আক্রান্ত শনাক্ত ১৪ জন শ্রমিক। অন্যান্য খাতের ৩ হাজার ৮৬৬টি কারখানার মধ্যে ১১টির ১২ জন কভিড আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

এলাকাভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত শ্রমিক আশুলিয়া শিল্প এলাকার। সেখানে ২৫টি কারখানার ৫৮ জন শ্রমিক আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। রোগীর সংখ্যা এরপরেই সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে। ওই এলাকার ২৩টি কারখানার ৪৮ জন শ্রমিক কভিড- ১৯ আক্রান্ত। মাত্র ১২টি কারখানার ৪৩ জন শ্রমিক আক্রান্ত শনাক্ত নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। ময়মনসিংহ এলাকার ৩টি কারখানার ৪ জন শ্রমিক কভিড আক্রান্ত। খুলনা এলাকায় ১৬ মে পর্যন্ত শনাক্ত না হলেও গত ২৩ মে পর্যন্ত একটি কারখানার একজন শ্রমিক কভিড আক্রান্ত নিশ্চিত করেছে শিল্প পুলিশ।

গত ২৬ এপ্রিল কারখানা সচল হলেও কারখানা বন্ধ ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে বর্তমানে ছয় শিল্প এলাকার প্রায় ৪১ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ২০ লাখের বেশি কারখানা এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন