বরিশাল-দিনাজপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ ঈদ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বরিশাল ও হিলি

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল বিভাগের চার জেলা ও দিনাজপুরের বিরামপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আজ রোববার সকাল থেকেই এসব গ্রামে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বরিশাল:  বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম; পটুয়াখালীর ২২টি গ্রাম; বরগুনার আমতলী,পাথরঘাটা,সদর ও বেতাগী উপজেলা এবং ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০টি গ্রামে আজ আগাম ঈদ উদযাপন হচ্ছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টায় বরিশাল নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডে তাজকাঠি শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ প্রাঙন, পৌর এলাকার ২৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সাগরদী মৃধাবাড়ি শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ, ২২নং ওয়ার্ডে জিয়া সড়ক শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়।

নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকার হাজি বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি আমীর হোসেন মিঠু জানান,চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ,সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে আগাম ঈদ উদযাপন করে আসছেন। ঈদ জামাতসহ অন্যান্য ধর্মীয় রীতি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। তবে করোনার কারণে এবার ঈদের আনন্দ নেই মানুষের মনে। 

দিনাজপুর: একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। এবার ঈদে কোলাকুলি না করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও তারা তা মানেননি। 

জানা গেছে, আজ সকাল ৮টায় বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের জামে মসজিদ এবং ৭টা ৪৫ মিনিটে বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া বাজার জামে মসজিদে পৃথক দুটি ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুটি জামাতে ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০০ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। একটিতে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কাজি এবং অন্যটিতে মাওলানা ইলিয়াস আলী ইমামতি করেন। ঈদের জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীও অংশ নেন। 

মাওলানা দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। আর এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে এই ঈদের নামাজ আদায় করা।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে ঈদ উদযাপনের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে  ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি।  গতবারের চেয়ে এবার জামাতে মুসল্লির সংখ্যা আরো বেড়েছে।

বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ঈদের জামাতে যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন