বিদ্যুৎ বিলে অসামঞ্জস্য নিয়ে বিপিডিবির ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বর্তমানে সরেজমিন মিটার রিডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আগের মাসের অথবা আগের বছরের একই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক্কলিত বিল প্রদান করা হচ্ছে। প্রাক্কলিত বিলের সঙ্গে প্রকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ কম বা বেশি অথবা কোনো অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হবে। কোন অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কোনো কোনো গ্রাহক বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতার কারণে গ্রাহক ও বিদ্যুৎ কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের আগের মাসের অথবা আগের বছরের একই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক্কলিত বিল প্রদান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সরকার এরই মধ্যে গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাসুল মওকুফ করেছে। ফলে কোনো ধরনের বিলম্ব মাসুল ছাড়াই উল্লিখিত তিন মাসের বিল আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে।

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কারো জিজ্ঞাসা বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর অনুরোধ করেছে বিপিডিবি। এছাড়া ব্যাংকে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ, নিজস্ব বুথ ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন