করোনা আক্রান্ত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে মারা গেছেন ১০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সশস্ত্রবাহিনীতে মারা গেছেন ১০ জন। এর মধ্যে ৮ জন অবসরপ্রাপ্ত। এখন পর্যন্ত  সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ১ হাজার ২০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। 

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ১ হাজার ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ৯২ জন পরিবারের সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য ২৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩৩ জন বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। ৪২১ জন সুস্থ হয়ে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরেছেন। এছাড়া ভর্তি অন্য রোগীরা সুস্থ আছেন।

আইএসপিআর জানায়, কভিড-১৯ এ মৃত্যুবরণকারী ১০ জনের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক আটজন (অবসরপ্রাপ্ত) এবং দুজন কর্মরত সেনাসদস্য প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে অনিরাময়যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর ৪ হাজার ৩৭৫ জন, ৭৭৪ জন পরিবারের সদস্য এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য ২ হাজার ২৬১ জন সদস্যেরসহ মোট ৭ হাজার ৪১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সব সদস্য, তাদের পরিবার ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিসহ (এএফআইপি) সব সিএমএইচে ১৩টি ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এছাড়া সব সিএমএইচে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), মাস্ক, গ্লাভস এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি মজুদ আছে বলে জানায় আইএসপিআর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন