ঈদে খালি বাসায় মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে যাবেন না: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে যারা ঈদ উদযাপনের উদ্দেশ্য ঢাকা ছাড়ছেন, তাদের খালি বাসায় মূল্যবান জিনিসপত্র না রেখে ঢাকায় অবস্থান করা কোন আত্মীয়ের বাসায় রেখে যাওয়াসহ ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায়, ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করার কথাও জানানো হয়েছে। আর যারা ঢাকায় থাকবেন তাদের বাইরে ঘোরাঘুরি না করে নিজ বাসায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে- করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন। ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন।

ডিএমপির ১৪টি নির্দেশনার মধ্যে ৯টিই ঈদ জামাত কেন্দ্রীক। বলা হয়েছে- ঈদের নামাজের জামাতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বেছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রবেশ পথে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। আর মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারে দাঁড়াতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।

এরবাইরে, মার্কেট বা শপিং মলের মালিক পক্ষকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ফাঁড়ির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন