উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে প্রত্যাহারের দাবিতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর সব ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নাগরিক সেবা দেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যানরা। গতকাল বিকালে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন। এ সময় তারা উপজেলা প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে ফলসী ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান রাসেল। এ সময় অন্যদের মধ্যে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, জোড়াদাহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান পলাশ, ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছমির উদ্দীন, তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুরুল আলম, কাপাশহাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ফলসী ইউপির চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার ফজলুর রহমান উপজেলার মাঠ আন্দুলিয়া গ্রামে সরকারি প্রাথমিক দ্যািলয়ের নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ করছেন। ১৮ মে ওই কাজের বিল নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবের কাছে যান। এ সময় প্রকৌশলী ৫ শতাংশ উেকাচ দাবি করলে তাদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে রওশন হাবিব ঘুষ দাবির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত উপজেলার আটটি ইউপিতে নাগরিক সেবা দেয়া বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য
জানা যায়নি।
হরিণাকুণ্ডুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, মামলা হলে জামিন বা প্রত্যাহার আদালতের বিষয়। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানতান না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
