কোকা-কোলা ও তার পার্টনার কেয়ার বাংলাদেশ যৌথভাবে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের মাঝে বিনা মূল্যে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে। করোনা মহামারীর কঠিন এই সময়ে এই খাদ্যসহায়তা অসহায় মানুষগুলোকে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের চলমান কর্মকাণ্ডকে সহযোগিতার লক্ষ্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ ঘোষিত সাড়ে ১১ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঈদের আগে চার দিনব্যাপী পরিচালিত এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ২৩ মে পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ অন্যান্য করোনা উপদ্রুত এলাকা বা হটস্পটগুলোতে এই ত্রাণসহায়তা প্রদান করা হবে।
ঢাকায় এরই মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত বুধবার প্রথম দিনে ১ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের প্রায় ৪ হাজার মানুষকে এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও কিশোরী মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ পুরো পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের মাঝে ফেস মাস্ক, সাবান, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রীসংবলিত ‘ডিগনিটি কিটস’ও বিতরণ করা হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ বলেন, মহামারীর এই সময়ে যেকোনো ভালো উদ্যোগ সমাজের অন্যদেরও উৎসাহিত করে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবতার এ লড়াইয়ে আমি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রবোধ দেবকোটা বলেন, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তার জন্য আমি কোকা-কোলা এবং আমাদের স্থানীয় পার্টনার ‘সোস্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক ইনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ) ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ জানাই। স্থানীয় পার্টনারদের সহায়তায় বর্তমানে ২৭টিরও বেশি জেলায় এ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কেয়ার বাংলাদেশ। এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৬২ মানুষের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আমরা সরকারি উদ্যোগগুলোর সঙ্গেও নিবিড়ভাবে সমন্বয় করছি। —বিজ্ঞপ্তি