কভিড-১৯

একদিনে সর্বোচ্চ ২৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ আক্রান্ত আরো ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে এটাই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। সময়ে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন আরো হাজার ৬৯৪ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৭টি ল্যাবে সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় হাজার ৬৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫।

এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩২-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল আশি বছরের বেশি। এছাড়া দুজনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন। অধ্যাপক নাসিমা জানান, যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৫৮৮ জন। সব মিলিয়ে পর্যন্ত হাজার ১৯০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

গতকাল বাংলাদেশ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে প্রথম ১০ হাজার রোগী আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ৫৮ দিন। দ্বিতীয় ১০ হাজার রোগী শনাক্ত হয় পরের ১১ দিনে। আর সর্বশেষ ১০ হাজার রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগল মাত্র সাতদিন।

সাধারণ ছুটি যত শিথিল হয়েছে, ততই বেড়েছে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় মার্চ। শুরুতে সংক্রমণের হার ছিল ধীর। প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এরপর ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। শুরুর দিকে বিশেষ এই সাধারণ ছুটি কঠোরভাবে পালন হতো। ধীরে ধীরে তা শিথিল হতে শুরু করে। প্রথমে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা খুলে দেয় সরকার। এরপর খুলে দেয়া হয় শপিং মল, মার্কেট। কিছু সরকারি বেসরকারি অফিসের কার্যক্রমও চালু হয়েছে। বলতে গেলে কেবল গণপরিবহনই বন্ধ আছে। রাস্তাঘাট, হাট-বাজারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মানুষের সমাগম যত বেশি হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার তত প্রকট আকার ধারণ করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন