ক্রয়াদেশ বাতিল বিষয়ে সমঝোতায় অনীহা

এডিনবার্গ উলেন মিলকে কালো তালিকাভুক্তির হুমকি বিজিএমইএ-বিকেএমইএর

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পোশাক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান এডিনবার্গ উলেন মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ বিকেএমইএ। প্রতিষ্ঠানটির বাতিল-স্থগিত করা রফতানি ক্রয়াদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সমঝোতার আলোচনার আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় যৌথ চিঠির মাধ্যমে ২১ মে হুমকি দিয়েছে সংগঠন দুটি।

চিঠিতে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ বলেছে, দিকনির্দেশনাগুলো অনুসরণ না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না, যা এডিনবার্গ উডেন মিল এবং তাদের কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবসা করা থেকে প্রতিরোধ করবে।

সূত্র জানিয়েছে, দুবাইভিত্তিক ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার ফিলিপ ডের মালিকানা ইডব্লিউএম বাংলাদেশের পাঁচটি কারখানাকে দেয়া রফতানি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। পিককস, জেয়গার, জেন নরম্যান, অস্টিন রিডসহ বেশকিছু ব্র্যান্ডের মালিকও ফিলিপ ডের। ইডব্লিউএম এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচটি কারখানাকে দেয়া মোট ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৯১৮ ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল করেছে। যেগুলোর বিষয়ে সমঝোতার কোনো আহ্বানেই সাড়া দেননি ফিলিপ ডের এবং তার প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিরা।

চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি . রুবানা হক বলেন, আমরা কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বের সঙ্গে সম্পর্কে যাচ্ছি না। আমরা সবসময়ই কৌসুলী ছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের ব্যবসা ঝুলে আছে। অবস্থায় পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের র্যাংক করার প্রয়োজন হচ্ছে। মূল্য পরিশোধ করছে না আবার সরবরাহকারীদের আহ্বানে সাড়াও দিচ্ছে না বলে আমরা ক্রেতাদের কালো তালিকা করছি।

ইডব্লিউএমকে পাঠানো হুমকির চিঠিতে দেয়া সমঝোতার প্রস্তাবে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ বলেছে, ইডব্লিউএমের পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারকে ২৫ মার্চের আগে যে পণ্যগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলোর বকেয়া মূল চুক্তি অনুযায়ী ২৯ মের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এরই মধ্যে যে ক্রয়াদেশগুলো কারখানায় দেয়া হয়েছে, সেগুলোর সমঝোতা জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়া বিলম্বিত মূল্য পরিশোধ মূল্যহ্রাসের বিষয়েও শর্ত উপস্থাপন করা হয়েছে ইডব্লিউএমকে পাঠানো চিঠিতে।

ইডব্লিউএমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ইডব্লিউএম তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত। চিঠির অনুলিপি বিডাসহ পাঠানো হয়েছে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশন, ব্রিটিশ হাইকমিশন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোয়। এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন