বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আদর্শকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ব শান্তি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানকে গুরুত্বসহকারে গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। কমিটির প্রধান সমন্বয়ক . কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি সংগঠনকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে। ফিদেল কাস্ত্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আলেন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, কবি রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, জওহরলাল নেহরু, মার্টিন লুথার কিং, লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ বিশ্বনেতাদের পদকে ভূষিত করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। তাই আজকের তারিখটি বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তির ৪৭তম বার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে নভেল করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন