দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী ও শিক্ষার্থী—যারা বিভিন্ন সময়ে ছুটিতে দেশে এসে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আটকা পড়েছেন, তাদের জরুরি ভিত্তিতে ফেরানো উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কেবল ৫৫০ জন বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীই কোরিয়ায় ফেরার অপেক্ষায় আছেন। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তারা কর্মস্থলে যেতে পাছেন না। এ অবস্থায় ফিরতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড (বোয়েসেল)।
বাংলাদেশে অবস্থানরত দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী ইপিএস কর্মী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে ২১ মে একটি জরুরি নির্দেশনা প্রকাশ করে বোয়েসেল। বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদল স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেসব ইপিএস কর্মী ও শিক্ষার্থী কোরিয়া যেতে ইচ্ছুক তাদের ২৮ মের মধ্যে নিবন্ধন করে বিশেষ ফ্লাইটে আসন নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ব্যবস্থা করা বিশেষ ফ্লাইটে প্রতি আসনের (ইকোনমি ক্লাস) জন্য যাত্রীদের আনুমানিক ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ ডলায় করে ব্যয় করতে হবে। যাত্রী চাহিদাসাপেক্ষে প্রয়োজনে একের অধিক বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত ইপিএস কর্মী ও শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর জন্য সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বোয়েসেল এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একযোগে উদ্যোগ নেয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ না থাকায় অন্য একটি কোরিয়ান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ চার্টার্ড করা হচ্ছে। বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই জানানো হবে।
