তরুণ প্রজন্মের ডিজিটাল জ্ঞানের ক্ষমতায়নে আসিয়ান একাডেমি চালু করেছে হুয়াওয়ে। মালয়েশিয়ায় চালু করা এ একাডেমির লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে ৫০ হাজারের বেশি তরুণকে প্রশিক্ষিত করা। তরুণদের প্রশিক্ষণে এ একাডেমি তিন হাজারের বেশি আইসিটি কোর্স সুবিধা উন্মুক্ত করবে এবং শতাধিক প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক এসব কোর্সের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।
এ একাডেমি বিষয়ে মালয়েশিয়ার কমিউনিকেশনস ও মাল্টিমিডিয়া মন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, মালয়েশিয়ার আসিয়ান একাডেমি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রথম একাডেমি, যা ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে আইসিটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ইকোসিস্টেমে মানিয়ে নিতে স্থানীয় তরুণদের সঠিক ও প্রয়োজনীয় আইসিটি জ্ঞানের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করাটা এখন অনেক বেশি জরুরি। ২০০১ সালে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস যখন প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন থেকে কমিউনিকেশনস ও মাল্টিমিডিয়া মন্ত্রণালয় (কেকেএমএম) এবং হুয়াওয়ে আইসিটি খাত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। এক্ষেত্রে সঠিক উপায়ে ডিজিটাল অর্থনীতি ত্বরান্বিত করতে ভবিষ্যতে আরো সফল অংশীদারিত্ব হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
একাডেমির আইসিটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও কোর্সগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা দেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমের প্রবৃদ্ধিতে সরকারি সংস্থা, শিল্পসংশ্লিষ্ট পেশাদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইকোসিস্টেম নিয়ে সমন্বিত ধারণা দেবে। প্রশিক্ষণ দৃশ্যপটভিত্তিক অনলাইন লাইভ ট্রেনিং এবং দেশের বাইরে শিক্ষা সফরের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় শিক্ষাপদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে। মেধা অনুযায়ী এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে একাডেমি থেকে মাল্টি-ডাইমেনশনাল সমাধান প্রদান করা হবে, যা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জ্ঞানের সমন্বয়হীনতা পূরণে কার্যকরী সমাধান নিশ্চিত করবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ইউয়ান বলেন, নতুন স্বাভাবিকতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অভ্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এবং অবকাঠামো আগের চেয়েও অনেক বেশি জরুরি। মানুষই ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোর মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে কেননা, তারাই মালয়েশিয়ার নাগরিকদের জন্য এসব সেবা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। স্থানীয় তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা ত্বরান্বিত করতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে আসিয়ান একাডেমির প্রশিক্ষণ ও নানা কর্মসূচি।
শিল্প খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী, তিনটি মূলক্ষেত্র—
আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড গাইডেন্স, ইকোসিস্টেম ট্যালেন্ট এনাবলমেন্ট এবং স্কিল ইমপ্রুভমেন্টের ক্ষেত্রে দেশের তরুণদের জ্ঞানের অভাব শনাক্তে কাজ করবে এ একাডেমি। মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির শক্ত ভিত্তি তৈরিতে মেধা ও তরুণদের উন্নয়নে কাজ করবে এ একাডেমি।
বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সমাধানদাতা হিসেবে হুয়াওয়ে মুক্ত, সহযোগিতাপূর্ণ এবং আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের পক্ষে, যার মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে। স্থানীয়ভাবে তরুণদের আইসিটি জ্ঞানের উন্নয়নে এবং ডিজিটাল রূপান্তর সহায়তায় হুয়াওয়ের যাত্রায় হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।