অভিমত

কবি নজরুলের প্রতি যত রাজরোষ

ড. মইনুল খান

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) তাঁর ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের অধিকাংশ সময়ে ব্রিটিশ রাজরোষের শিকার হন। নয় বছরে (১৯২২-১৯৩১) তাঁর পাঁচটি বই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে তিনি দুবার কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। প্রথমবার এক বছরের জন্য জেল খাটেন ১৯২৩ সালে আনন্দময়ীর আগমনে কবিতা লেখার জন্য। অন্যটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের জন্য। শেষের বারে ছয় মাসের জন্য কারাদণ্ডের আদেশ হলেও তাঁকে জেল খাটতে হয়নি। হাইকোর্টে আপিল করলে তাঁর কারাদণ্ডের আদেশটি রহিত হয়ে যায়। একের পর এক বাজেয়াপ্ত কারাদণ্ডের আদেশে নজরুল ব্রিটিশ ভারতে পরিচিত হয়ে ওঠেন আপসহীন প্রতিবাদী কবিরূপে। স্বাধীনতাকামীদের কাছে তিনি পরিণত হন মুক্তির অগ্রদূত হিসেবে। 

শিশির করের নিষিদ্ধ নজরুল (কলকাতা, ১৯৮৩) থেকে জানা যায়, নজরুলের প্রথম যে বইটি নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়, তা হলো যুগবাণী (১৯৯২) অন্য বইগুলো হচ্ছে বিষের বাঁশী (১৯২৪), ভাঙ্গার গান (১৯২৪), প্রলয় শিখা (১৯৩০) চন্দ্রবিন্দু (১৯৩১) তবে তাঁর আরো পাঁচটি বই নিষিদ্ধের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। এগুলো হলো অগ্নি-বীণা (১৯২২), সঞ্চিতা (১৯২৮), ফণি-মনসা (১৯২৭), সর্বহারা (১৯২৬) রুদ্র-মঙ্গল (১৯২৬) এই সুপারিশের পেছনে ব্রিটিশ সরকারের অনুগত বেঙ্গল লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিকসহ কয়েকজন রাজকর্মচারী কাজ করেছিলেন মর্মে প্রকাশ পায়। এসব বইতে এমন লেখা রয়েছে, যা ব্রিটিশ সরকারের কর্তৃত্বের প্রতি হুমকি হতে পারেএমন বর্ণনা ছিল সুপারিশে। তবে শেষ পর্যন্ত পরের পাঁচটি বই নিষিদ্ধ হয়নি। ব্রিটিশ ভারতে এতসংখ্যক বই আর কারোর বাজেয়াপ্ত বা নিষিদ্ধ হয়নি।

নজরুলের দীপ্তবেগে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯২২ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতা বিদ্রোহী প্রকাশের মধ্য দিয়ে। কবিতায় তিনি ১৪টি ছোট-বড় স্তবকে এবং ১৪১ পঙিক্ততে ব্রিটিশ ভারতীয়দের বীর হিসেবে সম্বোধন করে জেগে উঠতে আহ্বান করেন, বল বীর বল চির উন্নত মম শির। বইটিতে বিদ্রোহীর আগুন-ঝরা অংশে ছিল, মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেইদিন হবো শান্ত/ যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দনরোল/ আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,/ অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ/ ভীম রণভূমে রণিবে না/ বিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেই দিন হবো শান্ত। কবিতার মাধ্যমে তিনি অন্যায়, অবিচার পরাধীনতার শৃঙ্খলা থেকে মুক্তির ডাক দেন। এখানে তিনি হিন্দু মুসলিম ঐতিহ্য থেকে শব্দ, চিত্রকল্প, বাগভঙ্গি, রূপক এমনভাবে ব্যবহার করেছেন যে এটি কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের না হয়ে তা মানুষের মুক্তির পথ প্রদর্শন করেছে। যেমন তিনি বলেছেন, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।/ আমি বজ , আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,/ আমি ইস াফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,/ আমি পিনাক-পাণির ডমরু ক্রিশূল, ধর্মরাজের দণ্ড,/ আমি চক্র মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচণ্ড!/ আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা-বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব! ধর্মীয় বিশেষণ ব্যবহূত হলেও তাঁর এই প্রতিবাদী কণ্ঠ মূলত পরাধীনতা রাজশক্তির বিরুদ্ধে। এই কবিতার জন্যই নজরুল আখ্যায়িত হয়েছিলেন বিদ্রোহী কবি হিসেবে। কবিতাটি তত্কালীন ব্রিটিশ সরকারকে বেশ বিচলিত করলেও নিষিদ্ধ করেনি। প্রসঙ্গে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত জ্যৈষ্ঠের ঝড় গ্রন্থে বলেছেন, কবিতাটিতে হিন্দু-মুসলিমের পুরাণ প্রসঙ্গ এমনভাবে ব্যবহূত হয়েছে যে ব্রিটিশ সরকার একে রাজদ্রোহ বলে চিহ্নিত করতে পারেনি। তাঁর মতে, নজরুলের কবিতাকে রাজদ্রোহ বলতে গেলে ধর্মের উপরে আঘাত দেয়া হবে বলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। 

নজরুলের স্বাধীনতাকামিতা তাঁর বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে সমানভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি প্রথমে নবযুগ পরে সেবক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করলেও তাঁর নিজস্ব মনোভাব প্রথম প্রকাশিত হয় ধূমকেতু পত্রিকা সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। পত্রিকার ১৩শ সংখ্যায় (১৩ অক্টোবর ১৯২২) সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশনার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, স্বরাজ টরাজ বুঝি না, কেননা কথার মানে এক এক মহারথী এক এক করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমাণু অংশও বিদেশীর অধীন থাকবে না। ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রক্ষা, শাসনভার, সমস্ত থাকবে ভারতীয়দের হাতে। তাতে কোনো বিদেশীর মোড়লি করবার অধিকারটুকু পর্যন্ত থাকবে না।... ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার ডাক এই প্রথম নজরুলের কণ্ঠেই উচ্চারিত হয়েছিল। এমন জোরালো আহ্বান অন্য কোনো সাহিত্যিক বা নেতার মুখে শোনা যায়নি, যা ব্রিটিশ শাসকদের বিচলিত করে তোলে। নজরুল পড়ে যান রাজরোষে। 

নজরুলের বিদ্রোহের সবচেয়ে আলোচিত কবিতা হচ্ছে আনন্দময়ীর আগমনে (১৯২২) এটি ধূমকেতু পত্রিকায় ১২শ সংখ্যায় (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২) প্রকাশ হলে তা ব্রিটিশ শাসকদের চক্ষুশূল হয়। তত্কালীন অসহযোগ আন্দোলনের কতিপয় নেতার কড়া সমালোচনা স্বাধীনতার জন্য পূর্বে উৎসর্গীকৃতদের প্রশংসা ছিল কবিতার প্রেক্ষাপট। তিনি হিন্দু দেবী দুর্গাকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে রণক্ষেত্রে এসে ভারতবাসীকে জাগ্রত শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান। কবি বলেছেন, আর কতকাল থাকবি বেটি মাটির ঢেলার মূর্তি-আড়াল?/ স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল। তাঁর এই কবিতা ব্রিটিশ শাসকরা সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য করে ওই সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত করে এবং নজরুলকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে কলকাতায় নিয়ে বিচারক সুইনহোর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। দণ্ডে তাঁকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেয়া হয়। এই বিচারকার্য পরিচালনার সময়ে নজরুল আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য লেখেন, যা রাজবন্দীর জবানবন্দী হিসেবে ১৯২৩ সালে ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশ পায়। 

জবানবন্দি নজরুলের অন্যান্য সাহিত্যকর্মের মতো অনন্য সৃষ্টি হিসেবে খ্যাতি পায়। লেখায় নজরুল কয়েকটা বিষয় আলোকপাত করেছেন। প্রথমত, তিনি স্বাধীনতাকে মানুষের অধিকার হিসেবে বর্ণনা করেন। নজরুল বলেছেন, তিনি বিদ্রোহ করেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আর এই বিদ্রোহ পুরো ভারতবাসীর আত্মার যন্ত্রণার চিত্কার বলে বর্ণনা করেন। স্বাধীনতার জন্য কবির কণ্ঠ রোধ করলেও তা আরেকজনের কণ্ঠে গর্জন করে উঠবে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করার কথা বলায় তিনি কোনো অপরাধ করেননি বলে উল্লেখ করেন। দ্বিতীয়ত, তিনি জোরালোভাবে দাবি করেন, জবানবন্দিতে তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন। বিদেশী শাসকরা ভারতবর্ষকে শোষণ করছে। এতে দেশের জনগণ নিপীড়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, তার এই সত্য ন্যায়ের সংগ্রামের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তা আছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না, তা প্রকাশ পাবেই। তৃতীয়ত, জবানবন্দির মাধ্যমে তিনি শাসকদের নৈতিক অবস্থানের দুর্বলতার চিত্র তুলে ধরেন। যদি ভারত ব্রিটিশদের শাসন করত এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটিশরা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ালে ভারতীয়দের অবস্থান এই একই রকম হলে তার সম্ভাব্য পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এর দ্বারা নজরুল আইনের নামে বিচারের প্রহসন এর নৈতিক দুর্বলতাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। চতুর্থত, জবানবন্দিতে নজরুল বলেন, তিনি জানেন, ব্রিটিশরাজ তাঁকে সাজা দেবেন। কিন্তু তিনি তাতে ভীত নন। কবি বলেছেন, আমি লাভের বশবর্তী হয়ে আত্মোপলব্ধিকে বিক্রয় করি নাই। তিনি বলেন, তাঁর অসমাপ্ত কর্তব্য অন্যের দ্বারা সমাপ্ত হবে। জবানবন্দিতে তাঁর এই দৃঢ় বক্তব্যের মাঝে নজরুলের গভীর দেশপ্রেম স্বাধীনতার জন্য তাঁর অঙ্গীকারের দীপ্ততা ফুটে ওঠে।

নজরুলের এই জবানবন্দি শাসকদের শঙ্কা বাড়িয়ে দিল। বিচারক সুইনহো নিজে একজন কবি হয়েও নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন। তবে এই দণ্ড নজরুলকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কারারুদ্ধ অবস্থায় তাঁকে নানা ধরনের যন্ত্রণা কষ্ট দেয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষ নজরুলের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে। এর প্রতিবাদে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে তিনি শুরু করেন অনশন। বিভিন্ন মহলের অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো কিছুতেই তিনি অনশন ভাঙতে রাজি হলেন না। কবির জীবন বিপন্ন দেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও অনশন ভাঙার জন্য তারবার্তা পাঠান, যদিও ওটি প্রাপককে না দিয়ে ফেরত দেয়া হয়। প্রায় ৪০ দিন অনশন করার পর তাঁর মাতৃসমা (ধর্মমাতা) বিরজাসুন্দরীর অনুরোধে তিনি এই অনশন ভাঙেন। এই কারাবাসের মধ্যেও নজরুলের সাহিত্য থেমে থাকেনি, তিনি প্রতিবাদী গান করেন, কারার লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট রক্তজমাট/ শিকল-পূজার, পাষাণ-বেদী!/ ওরে তরুণ ঈশান!/ বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান/ উঠুক প্রাচী প্রাচীর ভেদি। কারা অভ্যন্তরে তাঁর প্রতিবাদের মুখে কবিকে শিকল পরানো হলে তিনি পরানো শিকল বাজিয়ে গেয়ে ওঠেন, এই শিকল-পরা ছল মোদের শিকল পরা ছল।/ এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল। কারারুদ্ধ অবস্থায় তাঁর রচিত দুটো গান বিশেষভাবে খ্যাতি লাভ করে এবং তাঁর বিদ্রোহীকর্ম তালিকায় যুক্ত হয়। সুভাষচন্দ্র বোস কারাগারে নজরুলের সাহিত্যকর্মে অভিভূত হয়ে বলেন, কবি সর্বদা একজন জ্যান্ত মানুষ গান দুটো পরবর্তীতে যেকোনো প্রতিবাদ আন্দোলনে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হতে দেখা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এমন গান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিল।

নজরুলের প্রতি রাজরোষ আবার দেখা দেয় তাঁর প্রলয় শিখা প্রকাশের পর। এটি ব্রিটিশরাজদের আরো বিচলিত করে তোলে। বইটিতে স্থান পাওয়া ২০টি কবিতার প্রতিটিতেই প্রতিবাদের ঝড়ের ইঙ্গিত ছিল। এর মধ্যে নব-ভারতের হলদিঘাট যতীন দাস নামের দুটো কবিতা শাসকদের চোখে বেশি আপত্তিকর মনে হয়েছিল। কারণ দুই কবিতায় বাঘা যতীন যতীন দাস নামের ভারতীয় বিপ্লবীদের কর্তৃক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করার জয়গান করা হয়েছে। শাসকদের ধারণা, সাহিত্যের আড়ালে নজরুল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে উসকে দিচ্ছেন। শিশির করের নিষিদ্ধ নজরুল থেকে আরো জানা যায়, বইটি সরকারি রোষে পড়ার আশঙ্কায় কোনো প্রকাশক তা প্রকাশ করতে সম্মত হননি। তাই নজরুল নিজেই প্রকাশক মুদ্রাকর হয়ে ত্রিমূর্তিরূপ ধারণ করে বইটি প্রকাশ করেন। পরিণামে নজরুল আবার গ্রেফতার হলেন। তাঁর প্রলয় শিখাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। বিচারক তাঁকে রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে তাঁকে জামিন দেয়া হয়। পরে আইন অমান্য আন্দোলন নিয়ে গান্ধী-আরউইন চুক্তির আওতায় সব রাজবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। নজরুলও মুক্তি পান।

নজরুলের এতগুলো বই নিষিদ্ধ হওয়া এবং দুবার কারাদণ্ডের এই অভিজ্ঞতা নজরুলকে বাঙালির সংস্কৃতিতে আরো উঁচুতে আসন করে দিয়েছে। কারাদণ্ডের প্রেক্ষাপট তত্কালীন ভারতবর্ষের শৃঙ্খলমুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ায় তাঁর সাহিত্যকর্ম রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায়ও স্থান পেয়েছে। কবির এই ত্যাগের কারণেই তাঁর বিদ্রোহী চেতনা বাংলা সাহিত্যে অভিনবত্ব এনে দিয়েছে এবং তাঁকে মহিমান্বিত করেছে। নজরুলের রাজরোষের ইতিহাস পরবর্তীতে অনেক রাজনৈতিক নেতাকেও উদ্বুদ্ধ করেছে এবং পটপরিবর্তনেও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নজরুলের বৈশ্বিক চিন্তা (কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ২০০০) শীর্ষক প্রবন্ধে লেখেন, নজরুল তাঁর সাহিত্যকর্ম দিয়ে প্রতিরোধের সংস্কৃতি প্রবর্তন করতে পেরেছিলেন। যার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ভৌগোলিক, রাজনৈতিক মনস্তাত্ত্বিক উপনিবেশ মুক্তি। সে অর্থে নজরুলের ভাবধারা বৈশ্বিক মুক্তির প্রতীকে পরিণত হয়েছে এবং সেজন্য তিনি মানুষের মাঝে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন। 

 

. মইনুল খান: সেন্টার ফর পলিসিং, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেররিজম, ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এনবিআরের কাস্টমস ভ্যাট কমিশনার এবং শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন