সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করল তার পরিবার

বণিক বার্তা ডেস্ক

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করে এক বিবৃতি দিয়েছে তার ছেলে। তবে ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করেছেন নিহত সাংবাদিকের বাগদত্তা হাটিস চেঙ্গিস। খবর বিবিসি।

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলেন খাসোগির ছেলে সালাহ খাসোগি। শুক্রবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, পবিত্র মাসের (রমজান) বরকতময় রাতে আমরা আল্লাহর কথাটি স্মরণ করছি: যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমা করে দিয়ে আবার মিলে যায়, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রাপ্য। সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারের আশায় আমরা, শহীদ জামাল খাসোগির ছেলেরা আমাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা ঘোষণা করছি।

সৌদি সরকারের বিশিষ্ট সমালোচক খাসোগি ২০১৮ সালের অক্টোবর বিয়ের কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। পরে আর বের হতে দেখা যায়নি ২০১৭ সালে আমেরিকায় নির্বাসিত সাংবাদিককে। ইস্তাম্বুল পুলিশের মতে, কনস্যুলেটের ভেতরেই গুপ্তহত্যার শিকার হন খাসোগি। মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা, তার দেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা বরাবর অস্বীকার করে গেছেন যুবরাজ। অবশ্য ওই বছরই ১১ সৌদিকে খাসোগি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পরের বছর গোপন বিচারিক আদালতে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

পরিবার তার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। ইসলামী আইনের আওতায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আলোকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে, তবে তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা পরিষ্কার নয়।

সালাহ তার আগের বক্তব্যে সৌদি তদন্তে আস্থা সমর্থনের কথা জানান। দেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করার জন্য তার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে সৌদি আরবের বিরোধী শত্রুদের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

গত বছর ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বাবার হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রত্যেক মাসে বেতন বাসা ভাড়া দেয়া হচ্ছিল খাসোগির সন্তানদের। কিন্তু বড় ছেলে সালাহ সৌদি আরবে বাস করছেন।

এদিকে নিহত সাংবাদিকের বাগদত্তা তুর্কি নাগরিক হাটিস এক টুইটে বলেন, জঘন্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ক্ষমা করার কারো অধিকার নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন