৯৩ লাখ কেজি চা রফতানি রুয়ান্ডার

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের শুরু থেকে চীন, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলো নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। তবে আফ্রিকায় প্রাণঘাতী ভাইরাসের ধাক্কা পৌঁছতে কিছুটা সময় লেগেছে। কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার চা রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। সময় দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৯৩ লাখ কেজি ছাড়িয়ে গেছে। রুয়ান্ডার ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (এনএইডিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর নিউজ টাইমস এগ্রিমানি।

চা রুয়ান্ডার অন্যতম রফতানি পণ্য। এনএইডিবির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৯৩ লাখ ১৭ হাজার কেজি বা হাজার ৩১৭ টন চা রফতানি হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

একই সময় চা রফতানি করে রুয়ান্ডার রফতানিকারকরা মোট হাজার ৫০০ কোটি রুয়ান্ডান ফ্রাঙ্ক বা কোটি ৭৬ লাখ ডলার আয় করেছেন। ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চা রফতানি করে দেশটির রফতানিকারকদের আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিকেশন অফিসার পি নাতওয়ারি বলেন, চায়ের আবাদ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়া, উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলক ভালো দাম পাওয়ায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে রুয়ান্ডা থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর ধাক্কা পরবর্তী সময়ে দেশটির চা রফতানি কমিয়ে দিতে পারে। কেননা আফ্রিকার দেশগুলোয় মহামারী দেখা মিলেছে এপ্রিল নাগাদ। কারণে বছরের শুরু থেকে রুয়ান্ডার চা রফতানি চাঙ্গা থাকলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) এসে তা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

এনএইডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চা রুয়ান্ডার শীর্ষ রফতানি পণ্য। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ উত্তর আমেরিকার ৪৮টি দেশে চা রফতানি করে রুয়ান্ডা। বিশেষত চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, জার্মানি, থাইল্যান্ডে দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি চা রফতানি হয়। উল্লিখিত সব দেশ নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়েছে। লকডাউনের কারণে আমদানি-রফতানিসহ সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে কার্যত স্থবির ছিল। এর প্রভাব পড়বে রুয়ান্ডার চা রফতানি খাতে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে রুয়ান্ডায় প্রতি কেজি প্রক্রিয়াজাত চায়ের গড় দাম ছিল ডলার ৭০ সেন্ট। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির গড় দাম কেজিপ্রতি ডলার ৮৮ সেন্টে উন্নীত হয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রুয়ান্ডায় চায়ের গড় দাম বেড়েছে দশমিক শতাংশ। পরিস্থিতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে চায়ের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন