দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে ভারতের চিনি রফতানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতি বছরের অক্টোবরে ভারতে চিনির নতুন বিপণনবর্ষ শুরু হয়। চলতি ২০১৯-২০ বিপণনবর্ষে দেশটির চিনি উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। পণ্যটির রফতানিও কমেছে দেশটি থেকে। মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলছে। এতে দেশটির প্রায় সব ধরনের শিল্প খাতই কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রাভাবমুক্ত থাকেনি চিনি শিল্পও। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউন শীথিল করেছে। এতে ভারত থেকে চিনি রফতানি শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইকোনমিক টাইমস।

ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বিপণনবর্ষের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ভারতের চিনিকলগুলোয় সব মিলিয়ে কোটি ৬৯ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, আগের বর্ষের একই সময়ের তুলনায় যা ৬১ লাখ টন বা প্রায় ২০ শতাংশ কম।

ভারতের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোর মধ্যে চলতি বিপণনবর্ষে মহারাষ্ট্রের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি কমেছে। আইএসএমএর তথ্য অনুযায়ী, বিপণনবর্ষের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যটিতে ৬০ লাখ ৮৭ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। আগের বিপণনবর্ষের একই সময়ে পণ্যটি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল কোটি লাখ ১৫ হাজার টন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মহারাষ্ট্রে চিনি উৎপাদন কমেছে ৪৬ লাখ ২৮ হাজার টন। রাজ্যটির ১৪৫টি মিলের একটি বাদে সবগুলো এরই মধ্যে আখ মাড়াইয়ের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকেও পণ্যটির উৎপাদন কমেছে। একই সময়ে রাজ্যটিতে মোট ৩৩ লাখ ৮২ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, আগের বিপণনবর্ষের তুলনায় যা প্রায় ১০ লাখ টন কম।

এদিকে ২০১৯-২০ বিপণনবর্ষের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যটির নয়টি মিলে মোট লাখ ৬৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, আগের বিপণনবর্ষের একই সময়ে যা ছিল লাখ ১৬ হাজার টন। একই সময়ে গুজরাটে উৎপাদন হয়েছে মোট লাখ ২৮ হাজার টন চিনি, আগের চলতি বিপণনবর্ষের একই সময়ের তুলনায় যা লাখ টন কম। রাজ্যের সবগুলো চিনিকলের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সময়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, বিহার, পাঞ্জাব, হারিয়ানা মধ্যপ্রদেশ  মিলে উৎপাদন করেছে মোট ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টন চিনি।

তবে ভারতের উত্তর প্রদেশে দেখা দিয়েছে ভিন্ন  চিত্র। রাজ্যটির চিনি উৎপাদন আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চলতি বিপণনবর্ষের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যটির ৪৬টি চিনিকলে সব মিলিয়ে কোটি ২২ লাখ ২৮ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা -যাবত্কালের সর্বোচ্চ। আগের বিপণনবর্ষের একই সময়ে রাজ্যটিতে মোট কোটি  ১৬ লাখ ৮০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। এর আগে উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার টন  চিনি উৎপাদন হয়েছিল।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন