পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধবস্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থার ( পিআইএ) ওই ফ্লাইটে ৮ জন ক্রু সদস্যসহ সর্বমোট ৯৮ জন আরোহী ছিলেন। ফ্লাইটটি করাচির পার্শ্ববর্তী একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেখানে বেশকিছু বাড়িঘরে আগুন জ্বলছে। হতাহতের সংখ্যা ১৫০-২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি পত্রিকা ডন জানিয়েছে, আজ বিকালে জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে করাচি মডেল কলোনির পাশেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।
পিআইএর মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফিজ জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটিতে ৯০ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু আছেন। ফ্লাইটটি লাহোর থেকে করাচি আসছিল। অবশ্য ডন পত্রিকায় প্রকাশিত যাত্রীদের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ফ্লাইটটির মোট যাত্রী ছিলেন ৯১ জন।
ওই ফ্লাইটে একজন সাংবাদিক এবং ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসুদও ছিলেন বলে জানা গেছে। মাসুদের পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন।
এধি ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাদ এধি জানিয়েছেন, তারা ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানয়েছেন এধি।
পিআইএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল আরশাদ মালিক জানান, উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছিলেন পাইলট। সঙ্গে সঙ্গে অবতরণের জন্য দুটি রানওয়ে প্রস্তুত করাও হয়েছিল। কিন্তু পাইলট ল্যান্ড না করে চক্কর দিচ্ছিলেন।
সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল বলেন, উড়োজাহাজটি একটি ঘনবসতি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেঞ্জার এবং উদ্ধার কর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতো বেশি সম্ভব মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছি।