নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ জাপানে ৩০ লাখ ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। বুধবার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, চলমান মহামারীটি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়েও ভয়াবহ প্রভাব রাখতে পারে। খবর কিয়োদো।
মধ্য জাপানের নাগয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চুবু রেজিয়ন ইনস্টিটিউট ফর সোস্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রিসার্চ বলছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মহামারীটি নিয়ন্ত্রণে আসতে যদি বছরের শেষ নাগাদ লেগে যায়, তাহলে পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে জাপানের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাবেন।
লেহম্যান ব্রাদার্সের বিপর্যয়ের মাধ্যমে শুরু হওয়া ২০০৯ অর্থবছরের আর্থিক সংকটে জাপানে ৯ লাখ ৫০ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন, যা দেশটির মোট শ্রমশক্তির ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস, জাপানের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি পর্যটন খাত চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
খাতওয়ারি খুচরা ও পাইকারি খাতে সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৪৫ হাজার কর্মী চাকরি হারাবেন। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতে চাকরি হারাবেন যথাক্রমে ৬ লাখ ১৪ হাজার এবং ৫ লাখ ৮৯ হাজার জন।
ইনস্টিটিউটটির এক অর্থনীতিবিদ রিওচি নাম্বা বলেন, লেহম্যান ব্রাদার্সের বিপর্যয়ের সময় প্রধানত ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বড় ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু এবার সবগুলো খাতের প্রভাব পড়েছে। এমন কোনো খাত নেই, যেখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবে গত মার্চে জাপানের বেকারত্ব হার এক বছরের সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী মাসগুলোয় কর্মসংস্থান পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।