কভিড-১৯

আরো ১৬১৭ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথমবারের মতো একদিনে ১০ হাজার পরীক্ষার গণ্ডি পেরোল বাংলাদেশ। গতকাল সারা দেশে ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে নতুন করে কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে হাজার ৬১৭ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরো ১৬ জনের।

গতকাল নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাজার ৬১৭ জনসহ দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৮ জন। নতুন করে আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৬।

অধ্যাপক নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, তিনজন নারী। তাদের মধ্যে থেকে ১০ বছর বয়সী একজন শিশু রয়েছে। এর বাইরে ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন ৮০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন আরো একজন।

সবচেয়ে বেশি সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে দুজন ঢাকা মহানগর এলাকার বাসিন্দা। এর বাইরে গোপালগঞ্জে একজন, শরীয়তপুরে একজন, নরসিংদীতে একজন, কিশোরগঞ্জে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের তিনজন, কুমিল্লায় একজন চাঁদপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যার তিনজনই রংপুর শহরের। অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে পঞ্চগড়ে। একজনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। তিনি সিলেট শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে ২১৪ জন সুস্থ হওয়ার খবর দিয়েছেন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ২০৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় দেশে সুস্থতার হার ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে গতকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন ঢাকা বিভাগে। সুস্থ রোগীর সংখ্যা হাজার ৩৮৪ জন। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮৯, রাজশাহীতে ৭৬, খুলনায় ১৩১, বরিশালে ১১৪, সিলেটে ১৩৪, ময়মনসিংহে ২৫৮ রংপুর বিভাগ থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ১৫৭ জন। 

একক হাসপাতালের হিসাব ধরলে সবচেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতাল থেকে গতকাল পর্যন্ত ৬০২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। একইভাবে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ৪৩১, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে ৪১৪, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২৭৪, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ১২৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন