নিলামে ৪২ লাখ টাকায় মাশরাফির ব্রেসলেট কিনে তাকেই উপহার

বণিক বার্তা অনলাইন

করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে ১৮ বছর ধরে হাতে পরা ব্রেসলেটটি নিলামে তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা। ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ এর নিলামে ব্রেসলেটটির সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা বিড করে দেশের নন-ব্যাংকিং ফাইনান্সের অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্স কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)। এই দুই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাবদ আরো পাঁচ শতাংশ যোগ করে ব্রেসলেটের চূড়ান্তমূল্য দাঁড়ায় ৪২ লাখ টাকা। ব্রেসলেটটি কিনে নিয়ে মাশরাফিকেই উপহার দেয়ার কথা জানিয়েছে বিডার প্রতিষ্ঠান বিএলএফসিএ-র সদস্য আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মমিনুল ইসলাম।

মাশরাফির ব্রেসলেটটিকে ‘অমূল্য’ উল্লেখ করে মমিনুল ইসলাম জানান, 'অকশন ফর অ্যাকশন'র সঙ্গে আইপিডিসি'র একটা চুক্তি আছে যে আমরা যে ১০টি প্রোডাক্ট নেব সেটার দামের সঙ্গে আরো ৫ শতাংশ মূল্য আমাদের যোগ করতে হবে। তাই এটার দাম ৪০ লাখ টাকা আর সেই সঙ্গে আরো ৫ শতাংশ ২ লাখ টাকাসহ মোট ৪২ লাখ টাকা হবে।'

ব্রেসলেটটির নিলাম উপলক্ষ্যে গতকাল রোববার (১৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ফেসবুক লাইভে আসার কথা ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার। লাইভেই এর নিলাম ঘোষণা করার কথাও ছিল। তবে কারিগরি সমস্যার কারণে সময়মতো লাইভে আসতে পারেনি সমন্বয়কারি প্রতিষ্ঠান ‘অকশন ফর অ্যাকশন’। পরে নিলাম শুরু হয় রাত প্রায় সাড়ে ১২টায়। তবে লাইভ শুরু হতেই নিলামে মাশরাফির প্রিয় এই ব্রেসলেটের দাম বাড়তে থাকে। মাত্র এক ঘণ্টায় নিলামে ব্রেসলেটটি সর্বোচ্চ দাম ওঠে ৪০ লাখ টাকা।

ক্যারিয়ারের শুরুতে লাল-সবুজ রঙে ‘বাংলাদেশ’ লেখা রিস্ট ব্যান্ড পরতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস। পরে নিজের নাম খোদাই করা স্টিলের একটি ব্রেসলেট বানিয়ে নেন তিনি। নিলামের লাইভ চলাকালেই ব্রেসলেটটি খুলে দেখান মাশরাফি। তিনি এক পর্যায়ে বলেন, আমার হাত এখন খালি।

এসময় লাইভের সঞ্চালক আরিফ আর হোসাইন মুমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করেন আপনারা এই ব্রেসলেটটি এখন কী করবেন। এর জবাবে মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি এই ব্রেসলেটটি মাশরাফির খুবই প্রিয়। ১৮ বছর ধরে এটি তার সঙ্গে আছে। আমি মনে করি এই ব্রেসলেটটি মাশরাফির হাতেই মানায়। ফলে এই ব্রেসলেটটি আমরা আপনাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই। আপনি আমাদের এই উপহারটি গ্রহণ করুন।’

মমিনুল ইসলাম যোগ করেন, ‘এটা (ব্রেসলেট) এখন আপনার কাছেই থাকুক। পরিস্থিতি (করোনা) স্বাভাবিক হলে আমরা একটা অনুষ্ঠান করে এটি পুনরায় আপনাকে আমরা উপহার দিতে চাই।’

এই কথার প্রেক্ষিতে মাশরাফি বলেন, ‘আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আমি বলছি, এটা আপনাদের কাছে থাকলেও আমার একটা ফোটাও কষ্ট হবে না। কারণ এটার উদ্দেশ্য একটাই করোনাকালে বিপদে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করা।’

আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ যাবে মাশরাফির গড়া নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনে। সেখান থেকে করোনাকালে বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যয় করার পরিকল্পনাও জানিয়েছেন মাশরাফি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন