বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হওয়ার পথে জেফ বেজোস

বণিক বার্তা ডেস্ক

বৈশ্বিক -কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার ব্যক্তি হতে যাচ্ছেন। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশ কোটি মানুষ। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অ্যামাজনের প্লাটফর্মে কেনাকাটা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে। যে কারণে জেফ বেজোসের ব্যক্তিগত সম্পদে উল্লম্ফন দেখা গেছে। অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হতে পারেন তিনি। খবর সিএনবিসি।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মহামারীর কারণে ব্যবসার দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতিতেও হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আমাজন।

জেফ বেজোস বর্তমানে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার নিট সম্পদ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তকমা দখলে রেখেছেন। তবে লকডাউনের সময় অনলাইনে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়ায় তার কোম্পানির লাভের পরিমাণ এতটাই বেশি যে বেজোসের বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের অধিকারী হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছতে পারে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে কম্পারিজন।

প্রতিষ্ঠানটির সমীক্ষায়, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ২৫ কোম্পানির বাজার মূলধন এবং গত পাঁচ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ২৫ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এরপর বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি গণনা করে আগামী বছরগুলোর জন্য প্রবৃদ্ধির হার হিসাব করেছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী ছয় বছরের মধ্যে বেজোসের নিট সম্পদের পরিমাণ ট্রিলিয়ন ডলারে ( লাখ কোটি ডলার) পৌঁছতে পারে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অ্যামাজনের বিক্রি সাড়ে হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, লকডাউনের প্রভাবে হোম ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ায় দারুণ লাভের মুখে রয়েছে -কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।

কম্পারিজনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৭ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় ট্রিলিয়নেয়ার ব্যক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চীনা রিয়েল এস্টেট ধনকুবের শু জিয়াইনের। সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ট্রিলিয়নেয়ার হতে পারেন বেজোসের চেয়ে প্রায় এক দশক পর। সে সময় তার বয়স ৫১ বছরে পৌঁছতে পারে। ২০৩০ সালে ৬৫ বছর বয়সে ট্রিলিয়নেয়ার ক্লাবে নাম উঠতে পারে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ২০৩৩ সালে ৭৫ বছর বয়সে ট্রিলিয়নেয়ার ক্লাবে যোগ দিতে পারেন।

কম্পারিজন যে ২৫ ব্যক্তিকে নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে, তার মধ্যে ১১ জনের নিজেদের জীবদ্দশায় ট্রিলিয়নেয়ার হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তাদের সাম্প্রতিক সম্পদ বৃদ্ধির হার পর্যালোচনা করে এমন তথ্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন