পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে। তিনি নয় বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিদায় বেলায় পুঁজিবাজারের সব অংশীজনের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গতকাল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনকালে বর্তমান কমিশন বিনিয়োগকারী, স্টক এক্সচেঞ্জ, ট্রেকহোল্ডারস, ডিবিএ, বিএমবিএ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ, ফান্ড ম্যানেজার, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানিজ, বাংলাদেশ পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), কাস্টডিয়ান, সরকার ও স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন। এজন্য সব অংশীজনের কাছে ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিশেষ করে কমিশন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সবার কাছে গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহযোগিতা ও নীতি সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের সবার প্রতি খায়রুল কমিশন গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনকে ২০১১ সালের ১৫ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। একই বছরের ৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, ৩০ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন ও করপোরেট কর্মকর্তা আরিফ খান এবং ১৪ জুলাই সাবেক জেলা জজ মো. আবদুস সালাম সিকদার বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। প্রথম দফায় তিন বছরের মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পান।
