শপিং খোলার বিপক্ষে ৯৩ শতাংশ ভোট: সিপিডির জরিপ

বণিক বার্তা অনলাইন

করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কী ভাবছে তা বোঝার জন্য একটি ‘ছোট জরিপ’ করেছে  বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ শনিবার সকালে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বাজেট সুপারিশ মালা তুলে ধরার সময় এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে আমরা লকডাউন হিসেবেই দেখছি। সেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর জন্য সারাবিশ্বেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। লকডাউন যেহেতু এক মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছে, সে কারণে বিভিন্ন পক্ষ থেকে তা তুলে নেয়ার জন্য এক ধরনের চাপ রয়েছে। কারণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। সীমিত আকারে শপিংমল, দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি না এর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব আছে যে, জীবনকে আগে বাঁচাতে হবে, তারপর জীবিকাও দরকার। জীবনই যদি না থাকে, তাহলে জীবিকা দিয়ে কী প্রয়োজন। সুতরাং এজন্য সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। শপিংমল, পরিবহন, কাঁচাবাজার এসব জায়গাগুলোতে মানুষের সমাগম বেশি হয়। যেখানে মানুষের সমাগম বেশি হয়, সেখানে এটার (করোনাভাইরাস) বিস্তার বেশি হয়।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন তা বোঝার জন্য আমরা অনলাইনে ছোট্ট জরিপ করেছি। সেখানে মাত্র দুটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। তাতে প্রশ্ন ছিল-বর্তমান পরিস্থিতিতে শপিংমল খুলে দেয়া প্রয়োজন কি-না? এর উত্তর দিয়েছেন ২২৬৪ জন। এদের মধ্য ২১০০ জন ‘না’ ভোট দিয়েছেন। সেটা প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর ১৬৪ জন খুলে দেয়ার পক্ষে। সুতরাং, আমরা দেখছি অধিকাংশ শপিংমল না খোলার পক্ষে। আমরা আরেকটি প্রশ্ন করেছিলাম, শপিংমল খুলে দিলে আপনি যাবেন কি-না? এর উত্তর দিয়েছেন ১০৪৭ জন। এর মধ্যে ১০০০ জন বলেছেন শপিংমলে যাবেন না। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ শপিংমলে না যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপরীতে ৪৭ জন শপিংলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং মানুষ কী ভাবে তা বিবেচনায় নেয়া ভালো।

করোনাভাইরাসের কারণে এবারের বাজেট সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েনি। সেজন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। সুতরাং, এবারের বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে অনেক ধরনের চাপ, সমস্যা, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেখানে সাপ্লাই চেন, চাহিদার ওপর চাপ পড়েছে। যার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। দেশের ভেতরেও অর্থনীতির অনেক খাত বিচ্ছিন্ন ও বন্ধ রয়েছে। যার কারণে অর্থনীতির ওপর আরেকটা চাপ পড়েছে।

অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন সিপিডির ডিস্টিংগুইস ফেলো ফয়সাল মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ। আগামী বাজেটের বিভিন্ন সুপারিশমালা তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন