সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্গানিক ফুড সরবরাহকারীরা চাহিদায় আকাশচুম্বী উল্লম্ফন লক্ষ করছে। শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে বাসিন্দারা স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ায় অর্গানিক ফুডের ডেলিভারি ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
অনলাইনে বিক্রি ও ডেলিভারি দেয়া এমন একটি শীর্ষ কোম্পানি হচ্ছে গ্রিনহার্ট অর্গানিক ফার্মস, যাদের খামার শারজায় এবং প্রধান বিক্রয় ও বিপণন কেন্দ্র দুবাইয়ে। গ্রিনহার্টের প্রতিষ্ঠাতা এলেনা কিনানে অ্যারাবিয়ান বিজনেসকে জানান, ডেলিভারির সংখ্যা তিন গুণ কিংবা তার চেয়েও বেশি বেড়েছে, যদিও ইউএইজুড়ে লকডাউন বিধিনিষেধে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পাইকারি বিক্রি কমেছে।
তিনি আরো জানান, বাজারে একটা রূপান্তর ঘটেছে। হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকায় তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যপণ্যগুলো হোম ডেলিভারিতে যাচ্ছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১১০টি হোম ডেলিভারি দিচ্ছে গ্রিনহার্ট, যেখানে সকাল ৫টায় খামার থেকে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সকাল ৮টার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
লকডাউন নীতিমালা শিথিল হলেও রেস্টুরেন্টগুলো সে ফ ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চালু থাকতে পারবে। এতে এ খাত থেকে প্রিমিয়াম অর্গানিক ফুডের চাহিদা স্বল্পমেয়াদে বাড়ছে না বলেই মনে করেন কিনানে। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে চাহিদা চড়া থাকবে এবং অনেক ক্রেতাই দীর্ঘ সময়ের জন্য এ অর্গানিক ফুডের ওপর নির্ভর করবেন বলে আশা করেন তিনি।
অন্যান্য অর্গানিক ফুডের মতো দুগ্ধপণ্যের চাহিদাও আকাশচুম্বী বলে জানাচ্ছেন এ খাত-সংশ্লিষ্টরা। মহামারী শুরুর পর থেকে অর্গানিক ও ল্যাকটুজ-ফ্রি দুধের অনলাইন অর্ডার বেড়েছে বলে জানায় দুবাইভিত্তিক কইটা মিল্ক। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কইটা জানান, অনলাইনে বিক্রি প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।