ব্যয় সংকোচন

বাংলাদেশ বিমানের ১৭ বৈমানিককে বিনা বেতনে ছুটি

মনজুরুল ইসলাম

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে গত মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক সব রুটের ফ্লাইট। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে আসা রাজস্ব আয়ও বন্ধ। অবস্থায় ব্যয় সংকোচনে চুক্তিভিত্তিক দেশী-বিদেশী ১৭ জন বৈমানিককে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক বিমানে থাকা ওই বৈমানিকদের মধ্যে আটজন ছিলেন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজের। এছাড়া ছয়জন বোয়িং ৭৩৭ তিনজন ড্যাশ- কিউ ৪০০ উড়োজাহাজের বৈমানিক ছিলেন।

এদিকে বহরে থাকা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলোর জন্য যেসব বিদেশী বৈমানিককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তাদের আগেই বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়েছিল বিমান।

প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রশাসন বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, বিমানে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক সব বৈমানিককেই বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফ্লাইট অপারেশন শুরু হলে তারা আবার যোগ দেবেন। গত সপ্তাহে সব বৈমানিককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্তে প্রতি মাসে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বিমানের।

এদিকে ফ্লাইট কার্যক্রম না চললেও নিজেদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সচল রাখতে হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে আবেদন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। মূলত চলতি মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) হিসেবে অর্থ ঋণ চেয়ে তারা আবেদন করেছে।

প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক রুটে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত ১৬টি দেশ হচ্ছে বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাজ্য। এসব দেশ থেকে কোনো ফ্লাইট বাংলাদেশে অবতরণ করতে পারবে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও এসব দেশে কোনো ফ্লাইট যেতে পারবে না। আর এসব আন্তর্জাতিক রুটের অধিকাংশেই ফ্লাইট রয়েছে বিমানের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন