জাপানের ইয়োকোহামায় নিজেদের বৈশ্বিক সদর দপ্তর ও অন্যান্য অনুৎপাদনমুখী কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেবে নিশান মোটর কোম্পানি লিমিটেড। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে কোম্পানিটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে। জাপানি মোটরগাড়ি নির্মাতা গতকাল এ তথ্য দিয়েছে। রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে নিশান জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তারা ২৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে—এই ১৬ দিন ইয়োকোহামার সদর দপ্তরের কার্যক্রম এবং গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি) মতো অনুৎপাদনমুখী অন্যান্য খাতের কার্যক্রম যথাসম্ভব সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসবে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই উৎপাদনমুখী খাতগুলো সংকটে রয়েছে। চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনও হচ্ছে কম। ফলে চলতি বছর নিজেদের আয়ে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছে বৈশ্বিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো। গাড়ি নির্মাণ শিল্পও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনার কারণে অন্যান্য বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মতো নিশান এরই মধ্যে জাপানের বাইরে থাকা তাদের গাড়ি উৎপাদন কারখানার বেশির ভাগই বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া চাহিদা পড়ে যাওয়ায় জাপানেও নিজেদের বেশ কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন চলতি মাসের শুরু থেকে বন্ধ রেখেছে তারা।
অবশ্য নিশানের বহুমুখী সংকটের শুরু আরো আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি ও মুনাফা দুটোই ক্রমে কমেছে। ঘাটতি দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের প্রবাহে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চাহিদা ও উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের এ সংকট আরো ঘনীভূত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগামী মাসেই নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেবে নিশান। ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কোম্পানির নীতিনির্ধারকরা প্রতিষ্ঠানটির আকার ছোট করে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন। বর্তমানে প্রতি বছর ৬০ লাখ গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে নিশানের। এ সংখ্যা ১০ লাখে নামিয়ে আনতে চান কোম্পানিটির নির্বাহী কর্মকর্তারা।