রোহিঙ্গা শিবিরে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুসহ বিশেষ পদক্ষেপের আহ্বান

কক্সবাজারে আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ও কভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী এবং মানবিক সেবায় নিয়োজিত সংগঠনের কর্মীরা।

তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে স্বামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। ফলে এখানে একজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে দ্রুত পুরো আশ্রয় শিবিরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে ভাইরাসে বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীও ঝুঁকিতে পড়বে।

কিন্তু উখিয়া এবং টেকনাফ অঞ্চলে মোবাইল এবং ইন্টারনেট যোগাযোগের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ না থাকায়, মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাচ্ছে না এবং যারা তাদের সংস্পর্শে কাজ করছেন তাদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এই বিধিনিষেধের কারনে স্থানীয় জনগণের পক্ষেও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। 

এখানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন থাকলে রোহিঙ্গা জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ  পৌঁছে দিতে পারবেন। 

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আগেই শরণার্থী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং সহায়তা কর্মীদের মানবাধিকার এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে, কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আশেপাশে চলমান মোবাইল ইন্টারনেট বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। 

বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন-

১। ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, গবেষক 

২। ড. রিদোয়ানুল হক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৩। অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, উপাচার্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি

৪। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ট্রাস্টি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

৫। ড. মঞ্জুর হাসান, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পীস এন্ড জাস্টিস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

৬। ফারাহ কবীর, কান্ট্রী ডিরেক্টর, একশন এইড বাংলাদেশ 

৭। শাহীন আনম, নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

৮। রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাষ্ট

৯। মাহীন সুলতান, নারী অধিকার আন্দোলন কর্মী

১০। এডভোকেট কামরুন নাহার, নারী অধিকার আন্দোলন কর্মী

১১। জাকির হোসেন, প্রধান নির্বাহী, নাগরিক উদ্যোগ

১২। মোহাম্মদ নূর খান, মানবাধিকার কর্মী

১৩। কাজী ওমর ফয়সাল, শিক্ষক, এমেরিকান ইউনিভার্সিটি 

১৪। রেহনুমা আহমেদ, লেখক

১৫। সায়েমা খাতুন, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

১৬। ড. মুবাশের হাসান, গবেষক, অসলো বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ে

১৭। ড. স্বপন আদনান, শিক্ষক ও গবেষক

১৮। মোহাম্মদ আব্দুল­াহ আল নোমান, আইনজীবি

১৯। রুহি নাজ, আইনজীবি

২০। হানা শামস আহমেদ, লেখক/গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী

২১। পারসা সানজানা সাজিদ, লেখক/গবেষক

২২। মোহাম্মদ সাইমুম রেজা তালুকদার, আইনজীবি ও শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

২৩। ফরিদা আক্তার, মানবাধিকার কর্মী

২৪। রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী

২৫। শিরীন প হক, মানবাধিকার কর্মী

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন