নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে লকডাউন থাকলে্ও কোনো দেশেই পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ করা হয়নি।
বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না।
তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারীর জরুরি অর্থের প্রয়োজন।
অথচ পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকায় তারা শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলতে পারছেন না।
তাই দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করা প্রয়োজন বলে গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান।
বিবৃতিতে রকিবুর রহমান জানান, যদি সরকারের সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ে তাহলেও ২৬ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করা উচিত।
বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের অন্য পুঁজিবাজারগুলো থেকে আমাদের বাজার আলাদা থাকতে পারে না।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি ভুল বার্তা দিচ্ছে।
মানবিক কারণেও পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করা জরুরি।
অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছেন যাদের জীবনের সব সঞ্চয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা আছে।
বর্তমানে সাধারণ ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকায় তাদের অনেকেরই আয়-রোজগার নেই।
তাদের হয়তো জরুরি অর্থের প্রয়োজন।
কিন্তু পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় তারা শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলতে পারছেন না।
রকিবুর রহমান আরো বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাই বাজারে দর পতনেরও কোনো ভয় নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রতিটি ব্যাংককে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা করে তহবিল গঠনে যে সুবিধা দিয়েছে, সেটি এই সংকটকালীন সময়ে পুঁজিবাজারকে সহায়তা দেয়ার জন্য কাজে লাগাতে হবে।
লেনদেন চালুর জন্য খুব বেশি জনবলের প্রয়োজন হবে না উল্লেখ করে ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ জন কর্মী, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কয়েকজন কর্মকর্তা, স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি ও সার্ভিল্যান্স বিভাগসহ দুই-তিনটি বিভাগের কর্মকর্তা, বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের দুই-তিন জন কর্মকর্তা হলেই চলবে।
আর ব্যাংক তো এমনিতেই খোলা আছে।
ব্যাংকিং এর সময়ের সঙ্গে মিল রেখেই লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা যায়।
আর বিনিয়োগকারীদেরকে ব্রোকারেজ হাউজে এসে লেনদেন করতে হবে না বলে তেমন ঝুঁকি নেই।
তারা ডিএসইর অ্যাপ ব্যবহার করে, ইমেইলে অথবা টেলিফোনে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবেন।
দুয়েকদিনের মধ্যেই ডিএসইর পর্ষদ সভা আহ্বান করে পুঁজিবাজার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া পুঁজিবাজার চালু করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।