২০০ দিন পর ফিরে এসে দেখলেন বদলে গেছে পৃথিবী

বণিক বার্তা অনলাইন

নভোচারী জেসিকা মেয়ার, ওলেগ স্ক্রিপোচকা ও অ্যান্ড্রু মরগান শেষবারের মতো যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তখন ঘরে পার্টি, আনন্দঘন সময়, হাত মেলানো, কোলাকুলি, জনাকীর্ণ কনসার্ট ছিল। কিন্তু ২০০ দিনের বেশি মহাকাশে কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে এসে দেখলেন সব পাল্টে গেছে। এ যেন এক অন্য গৃহ। যেখানে পার্টি, হ্যান্ডশেক বা কনসার্টের মতো জমায়েত নিষিদ্ধ।

আজ শুক্রবার সকালে তারা কাজাখস্তানের জেজাজন শহরের কাছে অবতরণ করেন। এক টুইট বার্তায় নাসা জানিয়েছে, ‘ঘর নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আজকের অবতরণের মধ্য দিয়ে মহাকাশচারী জেসিকা মেয়ার ও ওলেগ স্ক্রিপোচকার ২০৫ দিনের এবং মরগানের ২৭২ দিনের অভিযান শেষ হলো। বাড়িতে স্বাগতম।’ 

গত সপ্তাহে মহাকাশ থেকেই একটি সংবাদ সম্মেলনে মেয়ার ও মরগান বলেছিলেন, পৃথিবীতে কীভাবে ভাইরাসটির উদ্ভব ঘটছে- তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। এতদূর থেকে পর্যবেক্ষণ করে আমাদের গ্রহে কিছুটা পরিবর্তন মনে হয়েছিল। 

মরগান বলেন, আমরা এখান থেকে খবর দেখছি এবং পৃথিবীর একটি পরিষ্কার ও সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়ার জন্য বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি। তবে এখান থেকে বোঝা মুশকিল যে, পৃথিবীতে কী বদলে গেছে এবং ফিরে গেলে জীবনযাপন কতোটা আলাদা হবে। 

মরগান ২০১৩ সালে নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর জরুরি চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেন।  তিনি বলেন, জরুরি চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি যে, একটা হাসপাতাল বা ফিল্ড হাসপাতালের সম্মুখের লাইনে কী হতে পারে। আমি এই পেশার অংশ হতে পেরে খুব গর্বিত। তবে একই সঙ্গে আমি অপরাধবোধে ভুগছি কারণ আমি এখন এই পেশা থেকে আলাদা।

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের জন্য নাসার প্রটোকলে অবতরণ পরবর্তী মেডিকেল চেকআপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটা পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের সঙ্গে তাদের মানিয়ে নিতে এবং হাঁটার মতো বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত হতে সহায়তা করে। অবতরণ পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

নাসার এক মুখপাত্র বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ মেনেই তাদের অভিযান পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে ব্যবহৃত জিনিসের পৃষ্ঠতল পরিষ্কার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাতের ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া এবং ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমাবদ্ধ করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

সূত্র : সিএনএন 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন