কোভিড ১৯ মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের নেপথ্যে

ড. মো. আদনান আরিফ সালিম

বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত প্রায় প্রতিটি দেশ যেখানে নভেল করোনা কোভিড ১৯ সংক্রমণে এক অর্থে ধুঁকছে সেখানে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেছে অনেকটাই ভিন্ন চিত্র। ওয়াল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র (পরীক্ষণ- ৩,৪১১,৩৯৪, সংক্রমণ-৬৭৮,১৪৪, মৃত্যু-৩৪,৬৪১), যুক্তরাজ্য (পরীক্ষণ-৪১৭,৬৪৯, সংক্রমণ-১০৩,০৯৩, মৃত্যু-১৩,৭২৯), ইতালি (পরীক্ষণ-১,১৭৮,৪০৩, সংক্রমণ-১৬৮,৯৪১, মৃত্যু-২২,১৭০), ফ্রান্স (পরীক্ষণ-৩৩৩,৮০৭, সংক্রমণ-১৬৫,০২৭, মৃত্যু-১৭,৯২০), স্পেন (পরীক্ষণ-৯৩০,২৩০, সংক্রমণ-১৮৪,৯৪৮, মৃত্যু-১৯,৩১৫) কিংবা চীন (পরীক্ষণ-অজ্ঞাত, সংক্রমণ-৮২,৬৯২, মৃত্যু-৪,৬৩২) প্রতিটি দেশের অবস্থা যেখানে শোচনীয় তার বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া এখন প্রায় সংক্রমণমুক্ত হওয়ার পথে। প্রসঙ্গক্রমে চীনের কথা বলা যেতে পারে যারা এখন ধীরে ধীরে সংক্রমণ কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এর আগে সরকারি হিসেবে তাদের ৮২,৩৪১ জন সংক্রমিত হয়েছেন যার মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। এই লেখাটি লিখতে বসার ১০ মিনিটের মাথায় চীনের পরিসংখ্যান বদলে যেতে দেখা গিয়েছে যেখানে আরও ১২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য যুক্ত হয়। পরে জানা যায় উহানে মৃত এই সব রোগীদের আগে নথিভুক্ত করা হয়নি। পক্ষান্তরে চীনে করোনা সংক্রমণের পর কতজন মানুষকে তারা পরীক্ষার আওতায় এনেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। পাশাপাশি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনা এপিসেন্টার উহানে নতুন করে ৩২৫ জন  আক্রান্ত হয়েছেন। 

নভেল করোনা কোভিড ১৯ সংক্রণের পর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ এটা এখন নিশ্চিত করে বলাই যায়। বিশেষত,  চীনের বিভিন্ন প্রদেশের সংক্রমণ দেখে বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত ও উন্নয়নশীল প্রায় প্রতিটি দেশে এক অর্থে করোনার কাছে নতি স্বীকার করে নিয়েছে। অনেক দেশ সরাসরি করোনা প্রতিরোধের ব্যাপারে হাল ছেড়ে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি তথা সংক্রমণ পরবর্তী প্রাকৃতিক প্রতিরোধের কথা পর্যন্ত চিন্তা করেছে। ঠিক তার বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া চলেছে তার নিজস্ব গতিতে, তারা রোগ প্রতিরোধে রাষ্ট্রের প্রতিটি ইউনিটকে করেছে সক্রিয়। শেষ পর্যন্ত তারা কিভাবে সফল হয়েছে তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হচ্ছে নানা দেশে। মূলত ১৫ ফেব্রুয়ারি রোগ শনাক্ত করার অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা প্রায় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেয়। তারপর পর পর কয়েকটি ধাপে পুরো অস্ট্রেলিয়াকে তারা লক ডাউন করে ফেলেছে। এমনকি বাইরের বিভিন্ন দেশে থাকা বিমান ও জাহাজগুলোর যাত্রীকেও তারা দেশে প্রবেশের আগে অনেক শক্ত কোয়ারেন্টাইন মানতে বাধ্য করেছে। বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি কয়েকজন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি নিশ্চিতকরণের চেষ্টা করেছি। 

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মনোবিজ্ঞানী সৈয়দ মুহাম্মদ সাজ্জাদ কবিরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিনি ধাপে ধাপে অস্ট্রেলিয়া সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ব্যাপারে জানালেন। তিনি বলেন ‘করোনা সংক্রমণ শনাক্তকরণের পর পর অস্ট্রেলিয়া সতর্ক অবস্থানে চলে যায়। সেখানে পর্যায়ক্রমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তারপর এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশের যাতায়াত বন্ধ করার পাশাপাশি একটি পর্যায়ে এসে জেলা পর্যায়ের যাতায়াতও বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি স্থানীয়ভাবে অধিবাসীরা তাদের ঘরের বাইরে গিয়ে চলাফেরা করতে গেলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে উপযুক্ত কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। সেখানে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ সফলতার পারদকে আরও উচ্চে নিয়ে গেছে। প্রসঙ্গত তিনি বলেছেন জনৈক মন্ত্রী এবং ক্রীড়াবিদের আইনের মুখোমুখি হওয়ার কথা। কোয়ারেন্টিন না মেনে অবকাশযাপনকেন্দ্রে যাওয়ায় মন্ত্রীকে শাস্তির সম্মুখীন যেমন হতে হয়েছে, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার অনেক জনপ্রিয় এক ক্রীড়াবিদও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। ঐ ক্রীড়াবিদ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছেন। সেখানে উপযুক্ত নথি দেখাতে পারায় মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু এই একই ব্যক্তি তার ফিটনেস ধরে রাখার জন্য সদলবলে নয় বরং একাকি সাগরে গিয়েছিলেন সার্ফিং এর জন্য। সেখানেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে পাকড়াও করেছে। একটা পর্যায়ে তাকে সতর্ক করা হয় ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিজ বাসস্থানের আশেপাশে উপযুক্ত শরীরচর্চা করার জন্য।’

দীর্ঘ আলাপনে মনোবিজ্ঞানী সাজ্জাদ কবির আরও জানিয়েছেন অন্য দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাব্যবস্থার পার্থক্য নিয়ে। আমাদের দেশে যেখানে করোনা সংক্রমিত রোগী তার রোগের লক্ষ্মণ গোপন করে ডজন ডজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীকে সংক্রমিত করছেন কিংবা করোনা সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। ক্রিকেট খেলায় কেউ আউট হওয়ার পর যেমন রিভিউ নেয়া হয় সেভাবে এদেশে মৃত্যু পথযাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে তার বিপরীতে অনেকটাই ভিন্ন চিত্র অস্ট্রেলিয়াতে। আমাদের দেশের প্রতিটি করোনা টেস্টিংকে যদি আউট হওয়ার পর সীমাবদ্ধ পরিসরে থাকা রিভিউয়ের সুযোগের সঙ্গে তুলনা করা যায় সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার করোনা টেস্টিং অনেকটাই প্রতিটি বল হয়ে যাওয়ার পরের রিপ্লে দেখার মতো। শুধু কি তাই, অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত মানুষ যখনই কোনো চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন তাদের সবার আগে করোনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সেখানে করোনার একটি মাত্র উপসর্গ দেখামাত্র তাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হওয়া কিংবা না হওয়ার বাইরে কেউ যদি কোনো সংক্রমিত রোগীর গ-ির মধ্যে গিয়ে থাকেন তাকে রাখা হয়েছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে। সবক্ষেত্রে সফল হওয়া অস্ট্রেলিয়ার মানুষ এখনও হাস্যকর “হোম কোয়ারেন্টিনের” সঙ্গে পরিচিত হয়নি। সবমিলিয়ে এই ধরনের উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেই অস্ট্রেলিয়া করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে’। 

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়ে হার্ড ইম্যুনিটির উপর ভরসা করেছে কিংবা অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন ‘এই চাইনিজ ভাইরাস আমাদের কিছু করতে পারবে না’। যেখানে অনেক দেশে রাজনৈতিক নেতারা বলে বেড়িয়েছেন ‘আমরা করোনার থেকে শক্তিশালী’ সেখানে অস্ট্রেলিয়া কথার চেয়ে কাজের দিকে মনোনিবেশ করেছে অনেক বেশি। ফলে তাদের সাফল্য এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। চাইনিজ ভাইরাস যে দেশের কিছুই করতে পারবে না তারা এখন লাশের মিছিলের শেষ সীমানায় চোখ রেখে রাতদিন এক করে ফেলছে। আবার করোনার থেকেও শক্তিশালী দাবি করা দেশটাতে মাত্র ১৭,০০৩ টি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করতেই চোখের জল নাকের জল এক হয়ে গেছে। এই হাতে গোণা কয়েকটি পরীক্ষাতেই সরকারি হিসেবে সে দেশে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৩৮। অন্যদিকে সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত অন্য রোগীদের বাদ দিয়ে সরকারি হিসেবে করোনায় মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে ৭৫ জন। শুরু থেকে আজ অবধি কোনো বিবৃতি না দেয়া অস্ট্রেলিয়াতে দেখা গিয়েছে ৩৮০,০০৩ মানুষের পরীক্ষা করার পর সেখানে রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে মাত্র ৬,৪৬৮ জনকে। অন্যদিকে সংক্রমিত মানুষের মধ্যে সংখ্যা হিসেবে ৬৩ জনের মৃত্যুর বিপরীতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩,৭৪৭ জন। সেখানে ২৬৮৭ সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ২,৬২১ জন এখন প্রায় সুস্থ হওয়ার পথে যার বাইরে মাত্র ৬৬ জনের (২%) অবস্থা সংকটাপন্ন। অর্থাৎ পরিসংখ্যানের প্রতিটি পর্যায়ে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যগাথা। 

বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গিয়েছে গত ১৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা করেছিলেন :  “Australia is closing its borders to all-non citizens”|  এই ঘোষণার ঠিক পরদিন সকাল নয়টার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আর কোনো মানুষ দেখা যায়নি। যেখানে আমাদের দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরেও অনেক রোগী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের পুলিশ গিয়ে পাকড়াও করে এনেছে। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে থাকা বিদেশী কিংবা বাইরের দেশে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের নিয়ে তাদের সামান্য বিপাকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সেখানে উপযুক্ত পরীক্ষণ ও কোয়ারেন্টিন অনুসরণ করে তারা পুুরোপুরি সফল। পাশাপাশি তারা বিশ্বের নানা দেশের সংক্রমণ নিয়ে উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেছে। এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা ‘পাবলিক হেলথ সিস্টেমে’ অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ করা যায় ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর এই একশ বছর ব্যবধানে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিটি বিভাগ ও জেলার সীমারেখা পর্যন্ত লকডাউন করে দিয়েছে। 

প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার বাইরে ‘রুবি প্রিন্সেস ক্রুজ শিপকে’ সিডনি হার্বারে নোঙ্গর করতে দিয়ে তারা একটি ভুলও করেছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরীক্ষণ ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার মাধ্যমে অল্প সময়ের ব্যবধানে সেই ভুল থেকে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। তার পরেও এই জাহাজ অস্টেলিয়ার মোট সংক্রমণের ১০% তথা ৬৬০ জন রোগীর সংক্রমণের জন্য দায়ী। এই জাহাজের যাত্রীদের মধ্যেই মারা গিয়েছেন ১৫ জনের মতো রোগী। এই জাহাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সময়েই আরেকটি অঘটন হিসেবে সিডনি বিমানবন্দরে অবতরণ করে একটি বিমান। কিন্তু সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং এর কড়াকড়ির কারণে এই বিমান থেকে নামা যাত্রীদের কেউই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসতে পারেননি। তারা অনেকদিন বিচ্ছিন্ন থেকে বার বার পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমণ মুক্ত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। এর বাইরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও দেখা গিয়েছে তাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নানা স্পটে কড়া নজরদারির বিষয়টি। 

প্রতিটি দেশের জনগণ তাদের মতো করে স্বাধীনভাবে নিজের খেয়ালখুশি চলার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর সেজন্য প্রত্যেকটি রাষ্ট্র তাদের আইন ও সংবিধান তৈরি করে, মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিপালন করে জনগণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তার যথাযথ বাস্তবায়নের উপরেই নির্ভর করে ঐ রাষ্ট্রের সফলতা। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ন্ত্রণ করায় ঐ রাষ্ট্রকেই সবথেকে সফল হতে দেখা গেছে যারা সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ যথাযথ করতে পেরেছে। কথিত ‘সিটিজেন অ্যাক্ট’ তথা ‘নাগরিক আইন ও অধিকারের’ কথা চিন্তা করার পাশাপাশি যেসব দেশ মহামারীর সংক্রমণ নিয়ে একেবারে গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে তাদের করুণ পরিণতি এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তারা শুরুতে ‘হার্ড ইম্যুনিটির’ ধুয়ো তুললেও প্রায় প্রত্যেকেই করোনা মহামারী প্রতিরোধের সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়ে অশ্রুভেজা চোখে রুমাল চেপে শামিল হয়েছে লাশের মিছিলে।  অন্যদিকে করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর একটি অসুস্থ প্রবণতা হিসেবে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ‘স্কেপগোট’ তথা ‘বলির পাঁঠা’ অনুসন্ধান করা। আদতে তাদের পরিণতিও হয়েছে ভয়াবহ। তাদের মতো এ ধরণের সরলবক্র পথের অনুসন্ধান না করে অস্ট্রেলিয়ার চেষ্টা ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিধি অনুযায়ী তাদের প্রতিটি নাগরিকের জীবনকে নিরাপদ করার। মূলত সে কারণেই তারা শতভাগের কাছাকাছি সফল হওয়ার পথে। বর্তমানে যেসব দেশ ভয়ানকভাবে করোনা সংক্রমিত কিংবা বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে অস্ট্রেলিয়ার সফলতাকে তাদের সামনে আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।  

http://salimaurnab.com/ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন