নভেল করোনাভাইরাসে শেয়ার বিক্রির চাপ

মার্চে পৌনে ২৬ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত মাসের শুরুতে দেশে প্রথমবারের মতো তিনজন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। নভেল করোনাভাইরাস ততক্ষণে বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। পুঁজিবাজারেও এর প্রভাব পড়ে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় গত মাসে শেয়ার বিক্রির জন্য উঠেপড়ে লাগেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্রয়চাপের কারণে দিনের পর দিন পড়তে থাকে সূচক। অব্যাহত পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিলে দুই-একদিনের জন্য কিছুটা চাঙ্গা হলেও এরপর বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

গত মাসে ২৫ হাজার ৭৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মার্চ এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ছিল লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ কার্যদিবস ২৫ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় লাখ ১২ হাজার ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে গত মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন সবচেয়ে কম ছিল ১৬ তারিখে লাখ ৮৭ হাজার ৩৮২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা ২০১৪ সালের ২২ জুনের পর সর্বনিম্ন। এছাড়া ২০১৬ সালের মের পর এই প্রথম লাখ কোটি টাকার নিচে নামে ডিএসইর বাজার মূলধন। আর গত মাসে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন সবচেয়ে বেশি ছিল তারিখে লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

মার্চে এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পয়েন্ট হারিয়েছে ৪০১। মার্চ সূচকটির অবস্থান ছিল হাজার ৪০৯ পয়েন্টে। ২৫ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় হাজার পয়েন্ট। গত মাসে ডিএসইএক্সের সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল তারিখে হাজার ৪৬৬ পয়েন্ট। আর সর্বনিম্ন ছিল ১৮ তারিখে হাজার ৬০৩ পয়েন্ট। এদিন সূচকটির অবস্থান ছিল সাত বছরের সর্বনিম্ন। ২০১৩ সালের মে হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছিল ডিএসইএক্স। গত মাসে একদিনে সূচকটির সবচেয়ে বড় পতন হয় তারিখে। এদিন দশমিক ৫৪ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়ে ২০১৩ সালের নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়।

ডিএসইতে গত মাসে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় তারিখে। সেদিন এক্সচেঞ্জটিতে ৬০৯ কোটি লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন