১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হেলিকপ্টার ব্যবহার সীমিত রাখার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হেলিকপ্টার চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) শুধু করপোরেট, মেডিকেল, ত্রাণ বিতরণসহ মানবিক প্রয়োজনীয় কাজে ফ্লাইট পরিচালনা করতে অপারেটরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বেবিচক।

বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের নির্দেশনায় দেশের হেলিকপ্টার সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে ফ্লাইটের সংখ্যা কমাতে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনায় ফ্লাইট শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হেলিকপ্টার জীবাণুমুক্ত করা এবং যাত্রী ক্রুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

এর আগে এপ্রিল বেবিচক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের হেলিকপ্টারে যাত্রী বহন, জেনারেল এভিয়েশন এয়ার অপারেটরসের প্রশিক্ষণ বিমান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে বৈমানিক ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কপোরেট চিকিৎসাসেবার কাজে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ রাখা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে দেশে বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবার পরিধি বেড়েছে। বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নয়টি কোম্পানির ৩১টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা এয়ারওয়েজের চারটি, মেঘনা এভিয়েশনের চারটি, আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনের সাতটি, স্কয়ার এয়ারের তিনটি, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনসের ছয়টি, পারটেক্স এভিয়েশনের দুটি, আইরো টেকনোলজিসের দুটি, বাংলা ইন্টারন্যাশনালের দুটি বিআরবি এয়ারের একটি হেলিকপ্টার রয়েছে। হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের জন্য প্রতি ঘণ্টায় (ফ্লাইং আওয়ার) ৫০ হাজার থেকে লাখ ১৫ হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছে। কোথাও যাত্রাবিরতি (গ্রাউন্ড ওয়েটিং) করলে প্রতি ঘণ্টায় মাশুল দিতে হয় থেকে হাজার টাকা। এসব মাশুলের সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করও (মূসক) বহন করতে হয় যাত্রীদের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন